কানাডার ইলেক্ট্রনিক ট্রাভেল অথরাইজেশন্স (ইটিএএস) প্রক্রিয়াকারী ওয়েবসাইট ভেঙে পড়ার কারণে অনেক ভ্রমণকারী ফ্লাইট ধরতে পারেননি। কানাডায় প্রবেশ করতে চাওয়া অনেককে চাপ ও আর্থিক কষ্টের মধ্য দিয়েও যেতে হয়েছে।
ইটিএ সিস্টেমের যোগ্য দেশের সংখ্যা এ সপ্তাহেই বৃদ্ধি করেছে কানাডা। এর আওতায় যেসব দেশের নাগরিকদের নিয়ে বাড়তি সময় অবস্থানের ঝুঁকি নেই তাদের ক্ষেত্রে পূর্ণাঙ্গ ভিসার পরিবর্তে ইটিএ দেওয়া হচ্ছে। এসব দেশের ভ্রমণকারীরা ৭ কানাডিয়ান ডলার ফি দিয়ে অনলাইন আবেদনপত্র পূরণ করতে পারেন। পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করেেত সময় লাগে কয়েক মিনিট।
কানাডার অভিবাসনমন্ত্রী শন ফ্রেজার বলেন, এই উন্নয়নের অর্থ হচ্ছে বিশে^র বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আরও বেশি সংখ্যক মানুষ আমাদের বৈচিত্র্যপূর্ণ প্রকৃতির অভিজ্ঞতা নেওয়ার পাশাপাশি তাদের পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে মিলিত হওয়ার সুযোগ পাবেন। তাছাড়া কোনো ধরনের ভিসা ছাড়াই তারা আমাদের সংস্কৃতির মধ্যে ডুব দিতে পারবেন।
কিন্তু এই পরিবর্তনের তাৎক্ষণিক ফলাফল ঠিক এর বিপরীত। মন্ত্রণালয় বুঝতেই পারেনি যে, প্রায় ২৫ কোটি জনসংখ্যার ১৩টি দেশকে এই সুবিধার সঙ্গে যুক্ত করার ফলে আবেদনের চাপ এতটা বেড়ে যাবে। কিন্তু সেটাই হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেন, সবচেয়ে বেমি আবেদন আসছে ফিলিপিন্স থেকে।
এই চাপের ফলে সার্ভার কাজ করছে না এবং এর প্রভাব যে ওই ১৩টি দেশের আবেদনকারীদের ওপর পড়েছে তা নয়। ইটিএ সিস্টেমে আগে থেকেই যারা ছিলেন তাদেরও ওপরই একই প্রভাব পড়েছে।
পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে টরন্টো আসার কথা ছিল ব্রিটিশ নাগরিক অ্যামি মনারওয়েলার। কিন্তু তারা ইটিএ সাইটে ঢুকতেই পারছেন না।