কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো তাদের নিজেদের অর্থনীতির স্বার্থে মুদ্রানীতি সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছেন ব্যাংক অব কানাডার গভর্নর টিফ ম্যাকক্লেম। এর অর্থ হচ্ছে, কিছু দেশ অন্যদের তুলনায় আগেই সুদের হার কমানো শুরু করতে পারে।
ওয়াশিংটন ডি.সিতে ১৯ এপ্রিল আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের বৈঠকের সাইডলাইনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এই মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, মূল্য স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে আমাদের যে প্রতিশ্রুতি তাতে আমরা অনড় আছি। ওই কথা ও কাজের মধ্যে আমরা মিল রেখেছি, যা আমাদের মূল্যস্ফীতি নামিয়ে আনতে সাহায্য করেছে। আমরা যেহেতু মূল্যহ্রাসের পরবর্তী পর্যায়ে প্রবেশ করছি, দেশগুলো ভিন্ন ভিন্ন গতিতে অগ্রসর হতে পারে।
ম্যাকক্লেম বলেন, শেষ পর্যন্ত আমরা আমাদের নিজেদের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতির নিরিখে মুদ্রানীতির সিদ্ধান্তের দিকে এগোবো।
ম্যাকক্লেমের এই মন্তব্য এমন এক সময় এল যখন অর্থনীতিবিদদের মধ্যে এই আশাবাদ ক্রমেই জোরালো হচ্ছে যে, যুক্তরাষ্ট্রের আগেই কানাডা সুদের হার কর্তন শুরু করবে। যুক্তরাষ্ট্রের শক্তিশালী অর্থনীতি ও চলতে থাকা মূল্যস্ফীতি পূর্বাভাসদাতাদের ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হার কর্তনের আশা বিলম্বিত করছে। একই সময়ে কানাডায় অর্থনীতিবিদরা আশা করছেন, জুন অথবা জুলাই থেকে ব্যাংক অব কানাডা সুদের হার কমানো শুরু করতে পারে। কোর মূল্যস্ফীতির হার কমায় অর্থনীতিবিদদের মধ্যে এই আশাবাদ তৈরি হয়েছে।
স্ট্যাটিস্টিকস কানাডার সর্বশেষ ভোক্তা মূল্যসূচক প্রতিবেদনে মার্চে বার্ষিক মূল্যস্ফীতির হার দেখানো হয়েছে ২ দশমিক ৯ শতাংশ, যা ফেব্রুয়ারির চেয়ে সামান্য বেশি। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে কানাডায় বার্ষিক মূল্যস্ফীতির হার ছিল ২ দশমিক ৮ শতাংশ।
গ্যাসোলিনের উচ্চ মূল্যের কারণেই মূলত মার্চে মূল্যস্ফীতির এই হার বৃদ্ধি। তবে অন্যান্য মূল্য চাপ গত মাসে কম ছিল।
অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ডের ফেডারেল বাজেট উপস্থাপনের পর গণমাধ্যমের সঙ্গে গভর্নরের এটাই প্রথম কথা বলা। নতুন ব্যয় পরিকল্পনা মূল্যস্ফীতির ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে কিনা জানতে চাইলে গভর্নর বলেন, ফেডারেল আর্থিক প্রাক্কলন খুব একটা বদলায়নি। তবে সরাসরি মূল্যস্ফীতির ওপর এর প্রভাব আমরা বিবেচনায় নিচ্ছি না।