টরন্টোতে এই সময়ে হাজার পাখি জানালায় উড়ে আসে এবং মারা যায়। এই সময়ে তারা তাদের অভিবাসন যাত্রার শেষ পর্যায়ে চলে আসে। তবে এই মৃত্যু পুরোপুরি প্রতিরোধ করা সম্ভব বলে জানিয়েছে সিটি কর্তৃপক্ষ।
টরন্টো ওয়াইল্ডলাইফ সেন্টারের (টিডব্লিইসি) প্রধান ভেটেরিনারিয়ান ড. হিদার রিড বলেন, হেড ট্রমা থাকা প্রাণীদের দেখছি আমরা।
জানালায় উড়ে আসা যে আড়াই কোটি পাখি প্রতি বছর কানাডায় মারা যায় এই পাখিগুলোও তারই অংশ। পাখিরা কাচ বা প্রতিবিম্বিত সারফেস চিনতে পারে না, যা তাদের কাছে আউটডোর বলে মনে হয়। এ কারণে তারা তাতে ধাক্কা খায় এবং কখনো কখনো মারা যায়। এমনটাই ব্যাখ্যা করেন রিড।
সিটি অব টরন্টোর তথ্য অনুযায়ী, মৌসুমি এই মৃত্যু বেড়ে যাওয়া বর্তমান মাইগ্রেশন পিরিয়ডের সঙ্গে সম্পর্কিত, যা এ মাসের গোড়ার দিকে শুরু হয়েছে এবং মে মাসের শেষ পর্যায় পর্যন্ত চলবে। এই ভ্রমণ কয়েক হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত। অর্থাৎ, কেন্দ্রীয় ও দক্ষিণ আমেরিকা থেকে শুরু করে উত্তরাঞ্চলীয় প্রজনন ক্ষেত্র পর্যন্ত বিস্তৃত।
রিড বলেন, এরই মধ্যে টিডব্লিউসি ৪০টি পাখি তাদের যতেœ রেখেছে, হেড ট্রমা সম্পর্কিত আঘাত থেকে যারা সেরে উঠছে। আঘাত অথবা ভেঙে যাওয়া কোনো হাড়ের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে তাদের। প্রয়োজন হলে তাদেরকে অক্সিজেন থেরাপিও দেওয়া হবে। তাদেরকে উপযুক্ত ওষুধ দেওয়া হচ্ছে। মূলত আমরা তাদের হেড ট্রমা, চোখের ক্ষত এবং হাড়ে কোনো চিড় থাকলে তা সারিয়ে তুলছি।
কানাডা সরকারের প্রিভেনশন নীতিমালা অনুযায়ী, প্রাণীদের দুর্ভোগ প্রতিরোধের বাইরেও পাখিরা আমাদের নগরীর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এর মধ্যে রয়েছে কীট-পতঙ্গ নিয়ন্ত্রণ, পরাগায়ন এবং বীজ ছড়ানো। তাই স্বাস্থ্যকর প্রতিবেশ বজায় রাখতে তাদের টিকিয়ে রাখাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।