গণতদন্ত থেকে বিদেশি হস্তক্ষেপ নিয়ে একটি বিষয়ও যদি পরিস্কারভাবে জানা যায় তা হলো, ২০১৯ ও ২০২১ সালের নির্বাচনে চীন হস্তক্ষেপের চেষ্টা করেছিল। কিন্তু সেটা সফল হয়েছিল কিনা সে সংক্রান্ত সাক্ষ্য-প্রমাণ অস্পষ্ট। গত ১০ দিনের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং শুনানি থেকে বেশ কিছু বিষয় জানা গেছে।
কানাডার গোয়েন্দা সংস্থা এই ইঙ্গিত দিয়েছে যে, বিদেশি হস্তক্ষেপের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উৎস হচ্ছে চীন। রাশিয়ার ভুয়া তথ্য এবং ইরান-সংশ্লিষ্ট ভীতি প্রদর্শনকারী প্রচারণা গণতন্ত্রের জন্য হুমকি তৈরি করছে। তবে কর্মকর্তারা কানাডার নির্বাচনে হস্তক্ষেপ চেষ্টার সঙ্গে শক্তিশালী যোগসূত্র আবিষ্কার করতে পারেননি।
অতি গোপনীয় এক ব্রিফিং নোটে সিএসআইএস পরিচালক গত দুটি নির্বাচনে সম্ভাব্য বিদেশি হস্তক্ষেপের বেশ কিছু উদাহরণ তুলে ধরেছেন। এতে বলা হয়েছে, বেইজিং তাদের পছন্দের প্রার্থীর পক্সে সমর্থন জোগাড় করে। সেই সঙ্গে তাদের প্রচারণায় তহবিল ও অন্যান্য সহায়তা সরবরাহ করে।
সাক্ষ্য ও নথি অনুযায়ী, বেইজিং ও নয়া দিল্লি তাদের সরকারের কম সমালোচক এমন প্রার্থীদের জন্য তহবিল স্থানান্তরের চেষ্টা করে।
হস্তক্ষেপের প্রভাব কী এখন পর্যন্ত তা পরিস্কার নয়। কারণ, জনগণকে সতর্ক করার যে থ্রেশহোল্ড তা অনেক উুঁচুমানের।
লিবারেল ককাস থেকে বরখাস্ত এমপি ডংয়ের মনোনয়নের বিষয়ে ২০১৯ সালের নির্বাচনের সময় প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোকে সতর্ক করা হয়েছিল। কিন্তু তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের পক্ষে কোনো প্রমাণ না থাকায় মনোনয়ন বাতিল করেননি তিনি। এ ছাড়া কী ঘটছে সে ব্যাপারে ডং জানতেন বলেও কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি।
কমিশন ৩ মের মধ্যে তদন্তের প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশ করবে বলে আশা করা হচ্ছে। চূড়ান্ত সুপারিশ পেশ করবে এ বছরের শেষ দিকে। বিদেশি হস্তক্ষেপ শনাক্ত ও প্রতিরোধে কানাডার সক্ষমতা নিয়ে আলোচনার জন্য সেপ্টেম্বরে কমিশন আরেক দফা শুনানির আয়োজন করতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।