সব শ্রেণির রাসায়নিককে বিষাক্ত ঘোষণা করার ব্যাপারে হেলথ কানাডার সুপারিশ পেশের প্রায় এক বছর পর পরিবেশবিদরা বলছেন, এ ব্যাপারে সত্যিকারের কিছু করার এখনই সময়। বর্তমানে ১০ হাজারেরও বেশি ধরনের পার অ্যান্ড পলিফ্লুরোঅ্যালকাইল সাবস্ট্যান্স রয়েছে, যা পানিরোধক কসমেটিকস ও দাগ তোলা উপাদান থেকে শুরু করে কার্পেটিং ও নন-স্টিক কুকওয়্যারের মতো শত শত সামগ্রী তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
বৈজ্ঞানিকভাবে সংক্ষেপে একে পিএফএসএস বা পিফাস বলা হয়ে থাকে। কিন্তু অনেকেই এগুলোকে ফরএভার কেমিক্যাল বলেও ডেকে থাকে। কারণ, এগুলো কখনো ভাঙে না।
এনভায়রনমেন্টাল ডিফেন্সের টক্সিকস প্রোগ্রাম ব্যবস্থাপক ক্যাসি বার্কার হাউস অব কমন্সের পরিবেশ বিষয়ক কমিটির সামনে ২১ মার্চ বলেন, জৈব রসায়নের মধ্যে এসব রাসায়নিকের অন্যতম শক্তিশালী সংসক্তি, যার কারণে এগুলোর ভাঙা একপ্রকার অসম্ভব। এর পরিবর্তে এগুলো অনন্তকাল টিকে থাকে এবং পরিবেশ ও আমাদের শরীরে বছরের পর বছর ধরে জমা হতে থাকে।
এগুলোর সঙ্গে যে স্বাস্থ্য সমস্যারও বড় ধরনের সম্পর্ক রয়েছে বিভিন্ন গবেষণায় তা উঠে এসেছে। এর মধ্যে রয়েছে ক্যানসার, হরমোনে বিঘœ, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার সমস্যা এবং যকৃতের রোগ।
প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্তের বৈজ্ঞানিক পর্যালোচনার পর ২০২৩ সালের মে মাসে খসড়া সুপারিশ প্রকাশ করে হেলথ কানাডা। তাতে বলা হয়, কানাডিয়ান এনভায়রনমেন্টাল প্রটেকশন অ্যাক্টের আওতায় পিফাসকে বিষাক্ত ঘোষণা করা প্রয়োজন। এই তকমা দিলে তখন এসব সাবস্ট্যান্স নিয়ন্ত্রণ এমনকি নিষিদ্ধ করারও সুযোগ পাওয়া যাবে।
বেকার বলেন, এগুলোকে এখন বিষাক্ত ঘোষণা করার সঠিক সময় তো বটেই, সেই সঙ্গে নিয়ন্ত্রণও দ্রুত কার্যকর করতে হবে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সমগ্র শ্রেণিকে এই তকমা দেওয়া। কেবলমাত্র নির্দিষ্ট কিছু সাবস্ট্যান্সকে নয়।