অনলাইনে একটি বক্সে ক্লিক করে নতুন কানাডিয়ানদের সিটিজেনশিপ শপথের পদ্ধতিটি একটি বাজে ধারণা, যা প্রক্রিয়াটিকে খুবই সস্তা করে তুলবে এবং জালিয়াতির দরজা খুলে দেবে। পদ্ধতিটি সম্পর্কে গত কয়েক মাসে সরকার এ ধরনের শত শত মন্তব্য পেয়েছে।
লোকজন আনুষ্ঠানিকভাবে স্বশরীরে নাকি অনলাইনে মাউসের একটি ক্লিকে সিটিজেনশিপের শপথ নেবে সে ব্যাপারে গত ফেব্রুয়ারিতে নাগরিকদের মন্তব্য জানতে চায় লিবারেল সরকার। অভিবাসনমন্ত্রী শন ফ্রেজার শপথের জন্য লোকদের দীর্ঘ অপেক্ষা কমাতে ধারণাটি সামনে আনে। এর ফলে সিটিজেনশিপ পরীক্ষা দেওয়া ও আনুষ্ঠানিকভাবে কানাডিয়ান হওয়ার মধ্যকার সময় তিন মাস কমিয়ে আনবে বলে প্রত্যাশা করা হয়েছিল।
যে ৬৯১টি মন্তব্য পাঠানো হয়েছে তাতে রাজা ও দেশেল প্রতি আনুগত্যের প্রশ্নে বিভক্ত মতামতের বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। মন্তব্যগুলো অনলাইনে প্রকাশ করার আগে মন্তব্যকারীদের নাম বাদ দেওয়া হয়। প্রস্তাবিত নীতির ব্যাপারে একজন লিখেছেন, এটা ভয়াবহ ধারণা। বেশ কিছু মন্তব্যে একে অনলাইন কেনাকাটার সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। কেউ কেউ একে বিরক্তিকর বলে মন্তব্য করেছেন।
বাকিরা ওয়ান-ক্লিক পদ্ধতিকে অতি প্রয়োজনীয় নমনীয়তা ও নিশ্চয়তা প্রদানের সুযোগ হিসেবে দেখছেন। বিশেষ করে তাদের জন্য, যারা প্রান্তিক অঞ্চলে বাস করেন অথবা কর্মস্থল ছেলে দূরে যাওয়ার সুযোগ যাদের কম। একজন তার মন্তব্যে লিখেছেন, এটা প্রাগ্রসর এবং সত্যিকারের প্রশংসনীয় উদ্যোগ। যত দ্রুত সম্ভব এটি বাস্তবায়ন করা উচিত। এর ফলে নাগরিকত্ব নেওয়ার হার বাড়বে। বিশেষ করে আদিবাসী ও নৃতাত্বিক গোষ্ঠীগুলোর মানুষের মধ্যে। কারণ, এই কমিউনিটিগুলোর আয় অনেক কম এবং কাজ থেকে বিরতি নেওয়ার সুযোগ সেভাবে থাকে না।
কোভিড-১৯ মহামারির কারণে শাটডাউনের সময় নতুন কানাডিয়ানরা জুমে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শপথ নিতেন, যার সভাপতিত্ব করতেন একজন সিটিজেনশিপ জাজ অথবা কর্মকর্তা।