গর্ভপাতের অধিকার বাতিল নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র যখন উত্তাল তখন কানাডা এ নিয়ে কী ভাবছে নতুন এক সমীক্ষায় সেই ছবিটি সামনে এসেছে। লেজার ও দ্য অ্যাসোসিয়েশন ফর কানাডিয়ান স্টাডিজ পরিচালিত এক সমীক্ষায় অংশ নেওয়া প্রতি পাঁচজনের মধ্যে চারজনই গর্ভপাতের অধিকারের প্রতি তাদের সমর্থন ব্যক্ত করেছেন। এর বিরোধিতা করেছেন সমীক্ষায় অংম নেওয়া ১৪ শতাংশ কানাডিয়ান।
সমীক্ষায় অংশ নেওয়া ৭০ শতাংশ কানাডিয়ান রো বনাম ওয়েড রায় বদলে ফেলার পরিকল্পনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এছাড়া অর্ধেকই বলেছেন, গর্ভপাতের অধিকার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে যা হচ্ছে তার প্রভাব কানাডাতেও পড়তে পারে। শুক্র থেকে রোববার পর্যন্ত ১ হাজার ৫৩৪ জন কানাডিয়ানের ওপর সমীক্ষাটি চালানো হয়।
কানাডায় গর্ভপাতের অধিকারের অস্তিত্ব একইভাবে নেই যেমনটা আছে রো বনাম ওয়েড মামলায়। ১৯৭৩ সালে ঐতিহাসিক এ রায় দেওয়া হয়। ১৯৯৮ সালে সুপ্রিমকোর্টের এক সিদ্ধান্তে গর্ভপাতকে কানাডায় অপরাধ নয় হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়। তবে এ সংক্রান্ত কোনো বিল এখন পর্যন্ত পাস হয়নি এবং চার্টার অভ রাইটস অ্যান্ড ফ্রিডমের অধীনে এটি সাংবিধানিকভাবে সুরক্ষিতও নয়।
সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারী প্রতি তিনজনের মধ্যে দুইজন কানাডিয়ান গর্ভপাতের অধিকারের সুরক্ষায় সরকারের বিল আনা উচিত বলে মত দিয়েছেন।
জাস্টিন ট্রুডোর সরকার গত সপ্তাহে কানাডিয়ানদের এই বলে আশ^স্ত করেছে যে, নিরাপদ ও বৈধ গর্ভপাতের নিশ্চয়তা কানাডিয়ানদের দেওয়া হবে। যদিও বিষয়টি এখন পর্যন্ত পরিস্কার নয়।
গত নির্বাচনী প্রচারণায় লিবারেল পার্টি গর্ভপাত সেবাকে চিকিৎসার দৃষ্টিকোণ থেকে অত্যাবশ্যকীয়র ও সরকারে অর্থায়নে পরিচালনার নিশ্চয়তা দিতে কানাডা স্বাস্থ্য আইনে বিধান যুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। যদিও তা এখনও অধরাই রয়ে গেছে। প্রজনন স্বাস্থ্য ও অধিকার সংক্রান্ত ১ কোটি ডলার প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল লিবারেলরা। যদিও গত মাসে উত্থাপিত ফেডারেল বাজেটে এ বিষয়টির কোনো উল্লেখ নেই।