ইরাক ও মধ্যপ্রাচ্যে সামরিক মিশন আরও এক বছর বাড়াচ্ছে কানাডা। মিশনের মেয়াদ আরও ১২ মাস বর্ধিত করার এ ঘোষণা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঘোষণা করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী অনীতা আনন্দ। বর্তমান মেয়াদ শেষ হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে এ ঘোষণা দিলেন তিনি।
এই অঞ্চলে কানাডিয়ান সেনাবাহিনীর উপস্থিতি কমে আসছে। তাদের মনোযোগ এখন ইরাকে আইএসকে পরাজিত করার চেয়ে ইরানের বর্ধিত প্রভাব মোকাবেলায় বেশি বেড়েছে। আইএসের ইরাক ও সিরিয়া দখলের হুমকির পর ২০১৪ সালের অক্টোবরে ইরাকে কানাডিয়ান সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করা হয়। এক সময় সেখানে সর্বোচ্চ ৮০০ কানাডিয়ান সৈন্য ছিল। কানাডিয়ান মিশনের মধ্যে রয়েছে যুদ্ধ বিমান, পরিবহন ও নজরদারি উড়োজাহাজ, হেলিকপ্টার, সামরিক প্রশিক্ষক এবং কুর্দি ও ইরাকি সেনাবাহিনীর সঙ্গে আইএসের বিরুদ্ধে যুদ্ধেল জন্য বিশেষ সৈন্য সরবরাহ। কিন্তু এরপর থেকে মিশনের আকার ছোট হয়ে আসতে থাকে।
ফেব্রুয়ারিতে অপারেশন ইমপ্যাক্টে কানাডিয়ান সৈন্য ছিল মাত্র ৩০০ জন। এর মধ্যে ২৫০ জন গোয়েন্দা কর্মকর্তা, লজিস্টিকস ও কমান্ড স্টাফি ছিলেন কুয়েতে। জর্ডান ও লেবাননে প্রশিক্ষক হিসেবে ছিলেন ৫০ জন। ইরাকে ছিলে হাতেগোনা কয়েকজন সৈন্য।
আনন্দ বলেন, ইরাকের নিরাপত্তা বাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধিতে ২০১৪ সাল থেকে অংশীদার ও মিত্রদের সঙ্গে কাজ করছে কানাডিয়ান সশস্ত্র বাহিনী। জর্ডান ও লেবাননের সশস্ত্র বাহিনীর প্রশিক্ষণ ও সক্ষমতা বৃদ্ধিতেও কাজ করছে তারা।
ইউনিভার্সিটি অব ওয়াটারলুর মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক শীর্ষ বিশেষজ্ঞ বেজমা মোমানি বলেন, এমন এক সময় কানাডা মধ্যপ্রাচ্যে তাদের মিশনের মেয়াদ বৃদ্ধির ঘোষণা দিল যখন যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে প্রক্সি যুদ্ধের কারণে ভেঙে পড়ার অবস্থায় আছে ইরাক। এই অর্থে কানাডার অবদান প্রতীকি। সশস্ত্র বাহিনী প্রত্যাহারের সময় এখন নয়। এতে করে ভুল বার্তাই কেবল যাবে এবং ইরাক আরও বেশি ভঙ্গুর হয়ে পড়বে।