মঙ্গলবার, মে ১৪, ২০২৪
14.1 C
Toronto

Latest Posts

কার কিনতে গিয়ে ৩০ হাজার ডলার প্রতারণার শিকার

- Advertisement -
গাড়িটি কিনতে ডাটন তার সঞ্চয় ব্যবহার করেন। সুতরাং, কোনোভাবে তহবিলটি ফেরত পাওয়া যায় কিনা সেই আশায় তিনি রয়্যাল ব্যাংক অব কানাডার (আরবিসি) সঙ্গে যোগযোগ করেন

যুক্তরাষ্ট্রের একটি ওয়েবসাইট থেকে স্বপ্নের কারটি কিনতে পারছেন জেনে খুশির অন্ত ছিল না টরন্টোর এক বাসিন্দার। তবে তার স্বপ্ন আর সত্যি হয়নি। কারণ, কারটি তার হাতেই আসেইনি।

অন্টারিওর লিন্ডসের বাসিন্দা গর্ডন ডাটন বলেন, আমার চারপাশে এবং অতীতে আমার বন্ধুদের কাছে গাড়িটি দেখেছি। গাড়িটির বডি স্টাইল দারুণ।

- Advertisement -

১৯৬৬ পন্টিয়াক জিটিও মডেলের গাড়িটি বিক্রি হচ্ছিল ২৩ হাজার মার্কিন ডলারে। কানাডিয়ান মুদ্রায় যার পরিমাণ ৩০ হাজার কানাডিয়ান ডলার। ডাটন বিক্রেতার সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি তাকে গাড়ির ছবি ও এ সংক্রান্ত সব তথ্য পাঠান।

ডাটন বলেন, তাকে বলা হয়, অর্থ যদি তিনি তারযোগে পাঠিয়ে দেন তাহলে একটি কাভার্ড ভ্যানে করে গত গ্রীষ্মের ৮ জুন গাড়িটি তার দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া হবে। কথামতো ডাটন তারযোগে অর্থ পাঠিয়ে দেন। কিন্তু গাড়িটি আর আসেনি।

ডাটন বলেন, তাদের গাড়িটি সরবরাহ করার কথা ছিল এবং আমি আমার এক বন্ধুকে দাওয়াতও করেছিলাম। এরপর আমরা অপেক্ষা করতে থাকি। কিন্তু গাড়িটি আর আসে না। পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারলাম কোম্পানিটির কোনো অস্তিত্বই নেই। এটা বড় ধরনের প্রতারণা।

গাড়িটি কিনতে ডাটন তার সঞ্চয় ব্যবহার করেন। সুতরাং, কোনোভাবে তহবিলটি ফেরত পাওয়া যায় কিনা সেই আশায় তিনি রয়্যাল ব্যাংক অব কানাডার (আরবিসি) সঙ্গে যোগযোগ করেন।

সিটিভি নিউজকে দেওয়া এক বিবৃতিতে আরবিসির একজন মুখপাত্র বলেন, দেখতে আসল এমন অনেক ওয়েবসাইট ও ইমেইল অ্যাড্রেস অনেক প্রতারক তৈরি করেন। আদতে সেগুলো আসল নয়। প্রতারণার শিকার হওয়ার ফলাফল যে কঠিন এবং চাপের সেটা আমরা জানি। তাই তহবিল পাঠানো বা গ্রহণের আগে আপনি বৈধ ব্যক্তি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে লেনদেন করছেন কিনা সেটা নিশ্চিত হয়ে নিন। তারযোগে কোনো তহবিল একবার স্থানান্তর হয়ে গেলে তা উদ্ধার করা সব সময় সম্ভব হয় না।

ধ্রুপদী ও পুরাতন গাড়ি সংরক্ষণে বিশেষজ্ঞ অন্টারিওর ইনিসফিলভিত্তিক প্রতিষ্ঠান গিল্ড অটোমোটিভ রেস্টোরার্সের ডেভ গ্রেইঞ্জার। তিনি সিটিভি নিউজকে বলেন, দুঃখজনক হলেও সত্যি যে ধ্রুপদী কারকে কেন্দ্র অনেক প্রতারণার ঘটনা ঘটছে।

ডাটন বলেন, প্রতারিত হওয়ার পর আমি অন্য একটি ওয়েবসাইটে একই ১৯৬৬ পন্টিয়াক জিটিওর বিজ্ঞাপন দেখেছি। তিনি তার অর্থ ফেরত পাওয়ার আশা করছেন। কিন্তু এখন বুঝতে পারছেন যে, সেটা নাও হতে পারে। পুরো বিষয়টিকে হতাশাজনক বলে উল্লেখ করেন তিনি।

- Advertisement -

Latest Posts

Don't Miss

Stay in touch

To be updated with all the latest news, offers and special announcements.