জরুরি আইন পর্যালোচনায় গঠিত কমিটির কাছে কানাডিয়ানদের কাছে প্রতিবেদন প্রকাশ এখন কম জরুরি হয়ে পড়েছে। যদিও ফ্রিডম কনভয়কে কেন্দ্র করে জরুরি আইন ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে সেনেটর ও এমপিদের গবেষণায় প্রাপ্ত ফলাফলগুলো ডিসেম্বরে উপস্থাপনের কথা ছিল। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে। হ্যা। ঠিকই শুনেছেন।
বিলম্বিত করার বিষয়টি বিবেচনা করার আগে বিশাল নথির যে স্তুূপ তা উভয় সরকারি ভাষায় ভাষান্তরের দরকার ছিল। একজন সেনেটর তো এ সপ্তাহে বলইে ফেলেছেন যে, এই সমস্যা স্বাভাবিক করতে অনেক লম্বা সময় লেগে যেতে পারে।
সেনেটর পিটার হার্ডার বলেন, আমাদের কাজের জন্য লোকজন আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছেন বলে আমার মনে হয় না। কিন্তু আমাদের কাজ চলার সময় তার দীর্ঘ ঘুমে থাকতে পারে।
এখন নথিগুলো উভয় সরকারি ভাষায় অনুবাদের জন্য একটি ইনডেক্স সম্পন্ন করা হয়েছে, যা কয়েক শ পৃষ্ঠা লম্বা। কমিটির সদস্যরা এ ব্যাপারে একমত হয়েছেন যে, লেখার শ্রমসাধ্য কাজটি অবশেষে ২১ চলমান হবে।
কমিটি প্রকাশের মূল সময়সীমা প্রথম বর্ধিত করে আরও বেশি লিখিত প্রস্তাব পাওয়ার জন্য। এরপর সব নথি পাবলিক অর্ডার ইমার্জেন্সি কমিশনের কাছে উত্থাপিত সব নথি ইংরেজি ও ফ্রেঞ্চ ভাষায় রূপান্তরিত করার সিদ্ধান্তটি আসে ২০২৩ সালের জুনে। মাসখানেক আগেই কমিশন তাদের নিজেদের চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
সময় স্বল্পতার কথা ভেবে কমিশন নিজেই এই ভঙ্গির বিরুদ্ধে ছিল। কিছু নথি ছিল একটিমাত্র ভাষায়। শেষ পর্যন্ত তারা এই সিদ্ধান্ত পৌঁছায় যে, সরকারের জরুরি আইন ব্যবহার ন্যায়সঙ্গত ছিল।
হাজার হাজার নথি ভাষান্তরে কয়েক লাখ ডলার খরচ ও কয়েক বছর লেগে যেতে বলে ধারণা করা হয়েছিল। ট্রান্সলেশন ব্যুরোর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এক সভায় কমিটিকে বলেন, শুধু অনুরোধ করা অংশগুলোও যদি অনুবাদ করা হয় তাহলেও তা ১ লাখ ২৪ হাজার পৃষ্ঠা হয়ে যাবে, যাতে ব্যয় হবে ১ কোটি ৬০ লাখ ডলার।
যাই হোক শেষ পর্যন্ত কমিটি কাজ করতে সম্মত হয়েছে। তবে নতুন দিনক্ষণ নির্ধারণের বিষয়টিতে গুরুত্ব দিচ্ছে না তারা।