হাউস অব কমন্সের ফাইন্যান্স কমিটির সামনে যতবার হাজির হয়েছেন ততবারই বিপদসঙ্কুল পথ পাড়ি দিতে হয়েছে ব্যাংক অব কানাডার গভর্নর টিফ ম্যাকক্লেমকে। সংসদ সদস্যরা প্রতি বছর চারবার মুদ্রানীতি নিয়ে গভর্নরকে প্রশ্ন করার সুযোগ পান।
মূল্যস্ফীতি ও সুদে হারÑউভয়ই যখন উচ্চ তখন এমপিরা বিশেষ করে বিরোধী দলের এমপিরা তাকে রাজনৈতিকভাবে মতভেদ রয়েছে এমন প্রশ্ন করতেই বেশি উৎসাহী। ফেডারেল ব্যয় খুব বেশি নয় কি? কার্বন প্রাইসিং মূল্য কতটা বাড়িয়ে দিচ্ছে? এটা বাতিল করলে কি সুদের হার কমবে?
তার কথার ভার কতটা হওয়ার উচিত সে ব্যাপারে সতর্ক থেকে গভর্নর তার জবাব নিবদ্ধ রাখেন কেবল মূল্যস্ফীতির ওপর আর্থিক নীতির প্রভাব কী হতে পারে তার ওপর। কিন্তু ম্যাকক্লেমের সর্বোচ্চ চেষ্টার পরও রাজনীতিবিদরা প্রায় সময়ই তাদের নিজস্বি বয়ানে তার কথার খ- খ- অংশ ব্যবহার করেন অথবা ভিন্নভাবে উপস্থাপন করেন।
গত দুটি লিবারেল সংখ্যালঘু সরকারের সময় সংসদীয় কমিটিগুলোতে খুব বেশি মেরুকরণ ঘটেছে এবং হাউস অব কমন্সের বাইরে একটি রাজনৈতিক মঞ্চের ভেন্যুর জোগান দিয়েছে। কমিটির সামনে হাজির হওয়ার পর ২ মে কনজার্ভেটিভরা যখন সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে তাতে তারই পূর্ণাঙ্গ চিত্রায়ন দেখা যায়। কমিটি বলেছে, গভর্নর এটা নিশ্চিত করেছেন যে, ট্রুডোর ৬ হাজার ১০০ কোটি ডলার নতুন ব্যয় মূল্যস্ফীতি ও সুদের হার কমাতে সহায়ক হবে না।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এর ক্লিপও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু এখানে যেটা অনুপস্থিত তা হলো ম্যাকক্লেম কখনোই ফেডারেল ব্যয়কে আলাদা করেননি। তিনি বলেছেন, প্রদেশগুলো তাদের ব্যয় বাড়িয়েছে এবং এটা প্রদানত ঘাটতি অর্থায়ন।
আর্থিক ও মুদ্রানীতি কি একই দিকে চলছে? এই প্রশ্নের উত্তরে ম্যাকক্লেম বলেন, এটা প্রবৃদ্ধিতে সরকারের অবদান বাড়িয়েছে।