পূর্ববর্তী ধারণার চেয়েও কঠোর জরিমানার মুখে পড়তে হতে পারে টিডি ব্যাংক গ্রুপকে। যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকটি যে তদন্তের মুখে রয়েছে তা অবৈধ ফেন্টানাইল থেকে মুনাফা পাচারের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত বলে প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর এই মন্তব্য করেছেন একজন ব্যাংকিং বিশ্লেষক।
ন্যাশনাল ব্যাংক বিশ্লেষক গ্যাব্রিয়েল ডেশাইন এক নোটে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে টিডি যে একাধিক তদন্তের মুখে রয়েছে পরিস্থিতি খুব খারাপ হলে তার ফলাফল পুনর্মূল্যায়নের প্রয়োজন। ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল ২ মে এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করার পর এই মন্তব্য করেছেন তিনি।
পত্রিকাটি বলেছে, চীনা মাদক পাচারকারী অন্ততপক্ষে ৬৫ লাখ ৩০ হাজার ডলার পাচারে কীভাবে টিডি ব্যাংককে ব্যবহার করেছে তাকে মূল ধরে তদন্ত করছে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ। এটা করার জন্য কীভাবে টিডি কর্মীদের ঘুষ দেওয়া হয়েছে সেদিকেও গুরুত্ব দিচ্ছে তারা।
টিডি সরাসরি প্রতিবেদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। তবে অর্থ পাচার প্রতিরোধ ব্যবস্থায় ঘাটতির কথা উল্লেখ করেছে।
প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ভরত মাসরানি ৩ মে দিনের শেষ দিকে এক বিবৃতিতে বলেন, অপরাধীরা অর্থ পাচারের জন্য নিরলসভাবে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করছে এবং তাদের অবৈধ এসব কর্মকা- নস্যাৎ করার দায়িত্ব ও বাধ্যবাধকতা টিডির রয়েছে। ব্যাংকের এএমএল প্রোগ্রামে ঘাটতির মতো গুরুতর ঘটনায় তিনি দুঃখ প্রকাশ করছেন। এবং কার্যকরভাবে তিনি বিষয়টি মনিটর, শনাক্ত, জানানো ও ব্যবস্থা নেননি। এটা অগ্রহণযোগ্য এবং আমাদের মূল্যবোধের সঙ্গে যায় না।
ব্যাংকটি বলেছে, প্রোগ্রামটির প্রণিধানযোগ্য ব্যাপক সংস্কারের কাজ চলছে। প্রতিকার ও প্ল্যাটফরম শক্তিশালীকরণে এরই মধ্যে ৫০ কোটি ডলার খরচ হয়ে গেছে।