এভিয়েন ইনফ্লুয়েঞ্জার ওপর নজরদারি কর্মসূচি সম্প্রসারণ করছে কানাডিয়ান সরকার। যুক্তরাষ্ট্রের ডেইরি ফার্মগুলোতে এভিয়েন ইনফ্লুয়েঞ্জার সংক্রমণ বাড়তে থাকার মধ্যে এই পদক্ষেপ নিয়েছে কানাডা।
যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বিক্রি হওয়া পাস্তুরিত দুধে উচ্চ মাত্রায় প্যাথোজেনিক এভিয়েন ইনফ্লুয়েঞ্জার খ-াংশ চিহ্নিত হয়েছে। কানাডার স্বাস্থ্য সংস্থা এক বিবৃতিতে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা দুগ্ধবতী গাভীর এখন থেকে এভিয়েন ইনফ্লুয়েঞ্জা পরীক্ষা করতে হবে। পরীক্ষায় ওই গাভী নেগেটিভ হতে হবে। ভাইরালের অংশ আছে কিনা তা নিশ্চিত হতে কর্মকর্তারা খুচরা পর্যায়ে দুধের পরীক্ষা জোরদার করবেন। যেসব গরুর এইচপিএআইয়ের ক্লিনিক্যাল লক্ষণ নেই সেসব গরুরও ঐচ্ছিক পরীক্ষা করা যাবে। এটা করা হবে এ খাতের শক্তিশালী বায়োসিকিউরিটি উদ্যোগের অংশ হিসেবে।
যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন গত সপ্তাহে জানায়, সারাদেশ থেকে সংগৃহীত দুধের নমুনার মধ্যে প্রায় ২০ শতাংশে এভিয়েন ইনফ্লুয়েঞ্জার অংশ পাওয়া গেছে।
কানাডিয়ান বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাণিজ্যিকভাবে বিক্রি হওয়া দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য খাওয়ার জন্য নিরাপদ রয়েছে এবং এইচপিএআইয়ের জন্য দায়ী ভাইরাসকে নিষ্ক্রিয় করতে দুগ্ধজাত পণ্য পাস্তুরিত করা কার্যকর। এমনকি ভাইরাসের ভগ্নাংশ যদি থেকেও যায়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, কর্মকর্তারা যদি সম্ভাব্য খাদ্য নিরাপত্তা বা প্রাণী স্বাস্থ্যের বিষয়ে কোনো ধরনের ঝুঁকি দেখে থাকেন তাহলে কানাডার খাদ্য সরবরাহ ও গবাদিপশুর সুরক্ষায় তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থঅ নেওয়া হবে। মানুষের মধ্যে এর সংক্রমণের ঝুঁকি কম থাকলেও কানাডা, প্রদেশ ও অঞ্চলগুলোর সরকার এবং যুক্তরাষ্ট্রে আমাদের সহকর্মীরা পরিবর্তনশীল এই পরিস্থিতিতে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি সক্রিয়ভাবে তদারকি ও প্রস্ততির জন্য একসঙ্গে কাজ করছে। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে কানাডার গবাদিপশুর পাশাপাশি মানুষের স্বাস্থ্য রক্ষা করা।