বিদেশি হস্তক্ষেপ প্রতিরোধে ব্যবহৃত ব্যবস্থাগুলো শক্তিশালী করতে শিগগিরই আইন প্রস্তাব করা হবে বলে জানিয়েছেন কানাডার জননিরাপত্তামন্ত্রী। তবে তার বিশ্বাস, এই সুরক্ষা এরই মধ্যে বলবৎ আছে এবং সংস্থাগুলো তা দেখছে।
৩ মে বিদেশি হস্তক্ষেপের সমস্যার ব্যাপারে জনগণের মনোভাব নানাভাবে ফিরে আসে। কানাডার সর্বশেষ দুটি ফেডারেল নির্বাচনে বিদেশি হস্তক্ষেপ নিয়ে তদন্ত দেখভালের দায়িত্বপ্রাপ্ত কমিশনার অন্তর্বর্তী প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তাতে বলা হয়েছে, এই চেষ্টা কানাডিয়ান ভোটারদের অধিকারকে ক্ষুণœ করেছে। কারণ, এটা প্রক্রিয়াটিকে কলুষিত করার পাশাপাশি জনআস্থায় চিড় ধরিয়েছে। যদিও ভোটের সার্বিক ফলাফলে কোনো পরিবর্তন আনতে পারেনি এই হস্তক্ষেপ।
কমিশনার মেরি-জোসি হগ বিদেশি হস্তক্ষেপের বিষয়ে কানাডিয়ানদের অবহিত করে এবং তা শনাক্ত ও প্রতিহতের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে আস্থা ফিরিয়ে আনতে অটোয়ার কঠেরা পরিশ্রম করা উচিত বলে মনে করেন।
এই প্রতিবেদন প্রকাশের কয়েক ঘণ্টা পর ২০২৩ সালে ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার শিখ নেতা হারদীপ সিং সজ্জনের হত্যকান্ডের অভিযোগে তিন ভারতীয়কে গ্রেপ্তারের কথা ঘোষণা করে আরসিএমপি। ফেডারেল সরকার বলেছে, নিজ্জরের মৃত্যু ও ভারত সরকারের সংস্থাগুলোর মধ্যে সম্ভাব্য যোগসূত্রের বিশ^াসযোগ্য অভিযোগ রয়েছে।
গ্লোবাল নিউজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পেশাদার খুনীরা তার পিছু নিয়েছে বলে কানাডিয়ান সিকিউরিটি অ্যান্ড ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস কর্মকর্তারা তাকে সতর্ক করেন। এ ছাড়া যে অভিযোগের ভিত্তিতে ভারত আরসিএমপির মাধ্যমে নিজ্জরকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছিল তা বিশ্বাসযোগ্য নয়।
নিজ্জরের মৃত্যু রোধে ব্যর্থতা ও হগের অন্তর্বর্তী প্রতিবেদনের পরও কি তার কানাডার সিকিউরিটি অ্যান্ড ইন্টেলিজেন্স সার্ভিসের ওপর আস্থা আছে? এই প্রশ্নের উত্তরে জননিরাপত্তামন্ত্রী ডমিনিক লাব্লাঁ বলেন, আছে। বিদেশি হস্তক্ষেপ মোকাবিলায় এসব সংস্থার সক্ষমতা বৃদ্ধিতে এখন পর্যন্ত সরকার যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে তার পক্ষেও সাফাই তুলে ধরেন তিনি।