চীনের দ্বারা বিদেশি যে হস্তক্ষেপ তা সার্বিকভাবে ২০১৯ ও ২০২১ সালের সাধারণ নির্বাচনের ফলাফলকে প্রভাবিত করতে পারেনি বলে জানিয়েছে এ ঘটনার তদন্তে গঠিত ফেডারেল কমিশন। ওই দুই নির্বাচনে জাস্টিন ট্রুডোর লিবারেল পার্টি জয়লাভ করে।
অন্তর্বর্তী প্রতিবেদনে কমিশনার মেরি-জোসি হগ বলেছেন, এই হস্তক্ষেপের কারণে অল্প কয়েকটি রাইডিংয়ের ফলাফলে প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা থাকলেও নিশ্চিত করে তা বলা যায় না।
বিস্তৃত পরিসরে সাক্ষ্য গ্রহণ ও গোপন নথি পর্যালোচনা করেছেন হগ। এর ভিত্তিতে তিনি এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন যে, বেইজিং ও অন্যদের হস্তক্ষেপ দুটি জাতীয় নির্বাচনে কানাডার নির্বাচন পদ্ধতির ক্ষতি করতে পারেনি। আমাদের নির্বাচন ব্যবস্থা অটুট রয়েছে। ভোটাররা তাদের ভোট দিতে পেরেছেন। তাদের ভোট সঠিকভাবে নিবন্ধিত ও গণনা হয়েছে এবং এক্ষেত্রে হস্তক্ষেপের কোনো ঘটনা ঘটেছে এমনটা বলার সুযোগ নেই। এ ছাড়া সর্বশেষ দুটি সাধারণ নির্বাচনে কোন দল সরকার গঠন করবে তার ওপরও হস্তক্ষেপের এই চেষ্টা প্রভাব ফেলতে পারেনি।
হগ তার প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন যে, যদিও বিদেশি হস্তক্ষেপ কানাডিয়ান গণতন্ত্রের প্রতি জনগণের আস্থায় চিড় ধরিয়েছে। বিদেশি হস্তক্ষেপের ফলে এটাই সম্ভবত সবচেয়ে বড় ক্ষতি, কানাডাকে যা সইতে হয়েছে।
হগ বলেন, আমি জানতে পেরেছি যে, বিদেশি হস্তক্ষেপ এখন কেবল কানাডার নয়, সারা বিশে^রই সবচেয়ে বড় বাস্তবতা। সরকার যে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিয়েছে সেটাও আমি জানতে পেরেছি। তা সে নির্বাচন চলুক বা না চলুক। এইভাবে বিদেশি হস্তক্ষেপ অপরাধের সামিল। এটা সবসময়ই আছে। পদ্ধতিটি কেবল পরিবর্তিত হচ্ছে। সরকার এটা মোকাবিলার চেষ্টা করলেও তা নির্মূল করা প্রায় অসম্ভব। এটাকে অবশ্যই নিরুৎসাহিত করতে হবে। সেই সঙ্গে এর প্রভাব অবশ্যই কমিয়ে আনতে হবে।