ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রামনিয়াম জয়শঙ্কর। একই সঙ্গে তিনি অপরাধীদের স্বাগত জানানোর জন্য কানাডার সমালোচনাও করেছেন। নিজ্জর হত্যাকান্ড নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তার প্রতিক্রিয়ায় এ কথা বলেন তিনি।
শিখ অধিকারকর্মী হারদীপ সিং নিজ্জরের মৃত্যুর ঘটনায় ৩ মে তিন ভারতীয় নাগরিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশ (আরসিএমপি)। ব্রিটিশ কলম্বিয়ার সারের একটি মন্দির থেকে বেরোনোর পর গুলি করে হত্যা করা হয় তাকে।
তার এই মৃত্যুর পর কানাডায় ভারতীয় কূটনীতিকদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ও সমাবেশ হয়। বিশেষ করে এই হত্যাকা-ে নয়া দিল্লির ভূমিকা রয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো অভিযোগ করার পর এসব প্রতিবাদ ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
জয়শঙ্কর বলেন, কানাডায় বিক্ষোভগুলো স্বাধীন মতামতের সীমা অতিক্রম করে গেছে। গত সপ্তাহে এ ঘটনায় গ্রেপ্তারের প্রতিক্রিয়ায় তিনি আবারও দাবি করেন যে, অটোয়া ভারতীয় অপরাধীদের কানাডায় অভিবাসী হওয়ার সুযোগ দিচ্ছে।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, যারা খালিস্তান নামে ভারত থেকে আলাদা শিখ রাষ্ট্র চাইছে কানাডার রাজনীতিকরা তাদের হাতে রাজনৈতিক ক্ষমতা তুলে দিচ্ছে।
ভুবনেশ্বরে ৪ মে অনুষ্ঠিত এক বুদ্ধিজীবী ফোরামে এই মন্তব্য করেন জয়শঙ্কর। যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার মতো যেসব দেশ একদিকে ভারতের সঙ্গে অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে চাইছে, অন্যদিকে আবার বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনেও সমর্থন দিচ্ছে তাদের বিষয়ে একজন অংশগ্রহণকারী জয়শঙ্করের কাছে প্রশ্ন করেন। নয়া দিল্লি একে অসাংবিধানিক বলে মনে করে। আরেকজন অংশগ্রহণকারী ৩ মের গ্রেপ্তার সম্পর্কে জানতে চান। উভয় প্রশ্নেরই উত্তর দেন জয়শঙ্কর।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে আমাদের নঅতটা সমস্যা নেই। এই মুহূর্তে আমাদের সবচেয়ে বেমি সমস্যা হচ্ছে কানাডায়। ক্ষমতাসীন লিবারেল ও অন্যান্য দল মুক্ত মতের কথা বলে চরমপন্থা, বিচ্ছিন্নতাবাদ ও সংিসতাকে নির্দিষ্ট একটি মাত্রায় বৈধতা দিয়েছেন। কানাডায় ভারতের কূটনৈতিক মিশন ও কর্মীদের ওপর হামলা ও হুমকির বিষয়ে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানি জোলির কাছে তিনি জানতে চেয়েছেন।
জয়শঙ্কর বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোলিকে আমি বলেছি, ধরুন এটা আপনাদের সঙ্গে হচ্ছে। তারা যদি আপনাদের কূটনীতিক হতেন, আপনাদের দূতাবাস হতো, আপনাদের পতাকা হতো তাহলে প্রতিক্রিয়াটা কী হতো, সুতরাং, আমাদের অবস্থানকে মজবুত রাখতে হবে।