সর্বশেষ টেক্সটটি কী তা পরখ করতে দিনে একবার হলেও সেলফোনটির দিকে চোখ দেন দিগি¦জয় কোসামিয়া। কিন্তু যা দেখেন তা কেবল অপরিচিত নম্বর থেকে আসা হাতাশাজনক বার্তা।
অনেক সময় তা কানাডা পোস্টের নোটিফিকেশন হয়। নোটিফিকেশনটা সেই প্যাকেজের, যার অর্ডার কোসামিয়া দেনইনি। অন্যান্য সময় হয়তো বড় ব্যাংক থেকে তার কার্ড স্থগিত করার কথা জানিয়ে বার্তা আসে। অথবা সন্দেহজনক অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রে প্রথম চারটি ডিজিট পূর্ণ করতে বলা হয়। কার্ডটি চালু করতে তাকে যেটা করতে বলা হয় তা হলো একটি রহস্যজনক ইউআরএল অনুসরণ করতে বলা হয়।
প্রযুক্তির ব্যাপারে উৎসাহী ভ্যানকুভারের এই বাসিন্দা বলেন, আমি মনে করি না যে আমির এর খপ্পরে পড়ব। কিন্তু আমি আমার স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে উদ্বিগ্ন। আমি নিশ্চিত তারা এর খপ্পরে পড়েছে।
কোসামিয়ার অভিজ্ঞতা অনুুযায়ী, তার হিসাবমতে সপ্তাহে ১৫ অথবা ২০টি স্প্যাম মেসেজ আসে তার সেলফোনে। অনেকেই বলেছেন, স্প্যাম ও প্রতারণামূলক টেক্সটের বন্যায় বয়ে যায় রীতিমতো।
স্প্যাম মেসেজ তদারকি ও এর বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাটি বলেছে, ফিশিং সংক্রান্ত মেসেজের সংখ্যা বাড়ছে।
কোসামিয়া বলেন, কল কমে আসতে পারে। কিন্তু স্প্যাম মেসেজ বৃদ্ধি পেয়েছে।
কানাডিয়ান অ্যান্টি-ফ্রড সেন্টারে গত বছর ৫ হাজার ৩৯৫টি টেক্সট মেসেজের কথা জানানো হয়। যোগাযোগের প্রাথমিক পদ্ধতি এই টেক্সট মেসেজের কারণে গত বছর খোয়া যায় প্রায় ২ কোটি ৪০ লাখ ডলার। ২০২২ সালের তুলনায় এটা অনেকটাই বেশি বলে জানান অ্যান্টি-ফ্রড সেন্টারের মুখপাত্র জেফ হর্নক্যাসল।
কিন্তু সংখ্যাটি এক বালতি পানির একটি ফোটা মাত্র। কারণ, সেন্টারের হিসাব অনুযায়ী, প্রতারণার শিকার ব্যক্তিদের মাত্র ৫ থেকে ১০ শতাংশ এ বিষয়ে রিপোর্ট করে থাকেন।