সোমবার, মে ২০, ২০২৪
17.8 C
Toronto

Latest Posts

কুইবেকের ভাষা আইনের বৈধতা নিয়ে রুলিং দিতে যাচ্ছেন বিচারক

- Advertisement -
প্রদেশের নতুন ভাষা সংস্কার সংবিধানসম্মত কিনা সে ব্যাপারে রুলিং দিতে যাচ্ছেন কুইবেকের একটি আদালতের বিচারক

প্রদেশের নতুন ভাষা সংস্কার সংবিধানসম্মত কিনা সে ব্যাপারে রুলিং দিতে যাচ্ছেন কুইবেকের একটি আদালতের বিচারক। কারণ, আইনের একটি অংশের কারণে ইংরেজিতে রায় প্রদানে পদ্ধতিগত বিলম্বিত হচ্ছে।

বিচারক ডেনিস গ্যালিয়াটসাটোস নিজ উদ্যোগে প্রশ্নটি উত্থাপন করেন। একই সঙ্গে একজন সাইক্লিস্টের মৃত্যুর কারণ হিসেবে এক নারীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি অবহেলার অভিযোগের মামলাটিও দেখভাল করছেন তিনি।

- Advertisement -

১ মে এক সিদ্ধান্তে গ্যালিয়াটসাটোস বলেন, কুইবেকের ভাষা আইনের যে অংশে ইংরেজিতে আদালতের রায় দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের বিলম্ব ছাড়াই তৎক্ষণাৎ তা ফ্রেঞ্চ ভাষায় ভাষান্তরিত করার বাধ্যবাধকতা দেওয়া হয়েছে সেই অংশের ওপর রুলিং দেবেন তিনি। এজন্য কুইবেক ও কানাডার অ্যাটর্নি জেনারেলদের কাছ থেকে লিখিত যুক্তি চেয়েছেন তিনি, যা ১৪ মের মধ্যেই জমা দিতে হবে।

তিনি বলেন, কুইবেকের ভাষা আইনে সমস্যাপূর্ণ অংশটিতে কঠোর সময়সীমা আরোপ করা হয়েছে, মৌলিক ফৌজদারি কার্যবিধি পরিচালনার ক্ষেত্রে যার বিঘ্ন সৃষ্টিকারী প্রভাব রয়েছে। এটা ফেডারেলশ কর্তৃত্বের মধ্যে পড়ে।

ক্রিস্টিন প্রাইডের মামলার সভাপতিত্ব করার সময় বিচারকের এই উদ্বেগ সামনে আসে। আইল্যান্ড অব মন্ট্রিয়লে ২০২১ সালের ১৮ মে সংঘর্ষের পর সাইক্লিস্ট ইরিন ডেহেমের মৃত্যু হলে তার বিরুদ্ধে বিপজ্জনকভাবে গাড়ি চালানো, ইম্পেয়ার্ড ড্রাইভিং ও ফৌজদারি অবহেলার অভিযোগ আনা হয়। গাদিতে ওঠার সময় প্রাইড ক্লান্ত ছিলেন এবং বিষণ্ণতার ওষুধ খেয়ে কফির জন্য টিম হর্টন্সের উদ্দেশে গাড়ি চালিয়ে নিয়ে যান তিনি এবং পথে ডেহেমের সঙ্গে তার গাড়ির সংঘর্ষ হয়।

প্রাইডের মামলাটি ইংরেজিতে হবে বলে ঠিক হয়। দুই সপ্তাহ দীর্ঘ এই বিচার প্রক্রিয়া ৩ জুন শুরু হওয়ার কথা। কিন্তু কুইবেকের ভাষা আইনে ভাষান্তরের বাধ্যবাধকতা ১ জুন থেকে কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে। ফলে একইদিনে আদালতকে মূল ইংরেজি রুলিংয়ের একটি ফেঞ্চ ভাষার অনুলিপি দাখিল করতে হবে। গ্যালিয়াটসাটোস বলেন, অন্য কথায়, আদালতের চূড়ান্ত রায় প্রস্তুত থাকলেও আমি তা দাখিলের অনুমতি পাব না।

গ্যালিয়াটসাটোসের সাংবিধানিক প্রশ্ন উত্থাপনের বিরোধিতা করেছেন কুইবেকের অ্যাটর্নি জেনারেল। তার যুক্তি হচ্ছে, বিচারকের এই ক্ষমতা নেেেই। এই প্রশ্নের ওপর শুনানির পর কানাডার অ্যাটর্নি জেনারেলও বিচারক যে বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তহুলতে পারেন সে ব্যাপারে দ্বিমত পোষণ করেছেন।

- Advertisement -

Latest Posts

Don't Miss

Stay in touch

To be updated with all the latest news, offers and special announcements.