বিদ্বেষের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে ইন্ডিগো স্টোর ও কোম্পানির ইহুদি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিদার রিজম্যান। একটি গ্রুপ এ ঘটনাকে নির্লজ্জ ইহুদিবিদ্বেষি আক্রমণ বলে মন্তব্য করেছে। টরন্টো পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত কর দেখছে।
সিপি২৪-এর ক্যামেরায় ধরা পড়ে ফুটেজে হিদার রিজম্যানের ছবিসংবলিত বেশ কিছু পোস্টার বে ও ব্লুর স্ট্রিটের কাছে ইন্ডিগো স্টোরের বাইরে সাটানো দেখা যায়। তাতে লেখা ‘ফান্ডিং জেনোসাইড’।
১০ নভেম্বর সকালের দিকে পোস্টারগুলো স্টোরের বাইরে দেখা যায়। স্টোরের সামনের দরজায় লাল রংও ছিটিয়ে দেওয়া হয়। ফ্রেন্ডস অব সিমন ভাইজেন্থাল সেন্টারের (এফএসডব্লিউসি) প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাইকেল লেভিট এক বিবৃতিতে বলেছেন, ইন্ডিগো স্টোর ও এর সিইওকে লক্ষ্যে পরিণত হতে দেখাটা সত্যিই আতঙ্কের। কানাডা ও সারা বিশে^র ইহুদিদের জন্য এটা বেদনাদায়ক ও নতুন বাস্তবতা। এ ব্যাপারে সরকারি নেতাদের কাছ থেকে নিন্দার চেয়েও বেশি কিছু প্রয়োজন।
প্রতিষ্ঠাতার হেসেগ ফাউন্ডেশন ফর লোন সোলজারসকে ঘিরে কয়েক বছর ধরেই বর্জনের মধ্যে রয়েছে ইন্ডিগো। এর পেছনে কারণ কী তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে সিপি২৪কে পুলিশ জানিয়েছে, তারা এ ব্যাপারে অবগত রয়েছে এবং হেইট ক্রাইম ইউনিট এর তদন্ত করছে।
গত মাসে ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে টরন্টোতে বিদ্বেষপ্রসূত যেসব ঘটনা ঘটেছে ইন্ডিগোর ঘটনাটি তার মধ্যে সর্বশেষ। টরন্টো পুলিশ ৮ নভেম্বর বাহিনীর হেইট ক্রাইম ইউনিটের কর্মকর্তার সংখ্যা ৬ জন থেকে ২০ জনে উন্নীত করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। এ ছাড়া এ ধরনের ঘটনা মোকাবিলায় ৮ জন বিশেষ ডিস্ট্রিক্ট কনস্টেবলও নিযুক্ত করা হয়েছে।
টরন্টো পুলিশপ্রধান মাইরন ডেমকিউ এর আগে বলেন, হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে নগরীতে ইহুদিবিদ্বেষী ঘটনা ব্যাপক হারে বেড়ে গেছে।