টরন্টোর সবচেয়ে অজনপ্রিয় স্পিড ক্যামেরা শুধু গত মাসেই ৩ হাজার ৫০২টি টিকিট ইস্যু করেছে। ট্রাফিক সেফটি গ্রুপ সেফপার্কসাইড এই তথ্য জানিয়েছে।
গ্রুপটি বহুদিন ধরেই পার্কসাইড ড্রাইভের ক্ষেত্রে গতি সীমিত করার পক্ষে কথা বলে আসছে। বিশেষ করে ২০২১ সালে ভালদেমার এবং ফাতিমা আভিলার মৃত্যুর পর এই দাবি জোরালো হয়েছে। তবে তারা বলছে, অ্যালগনকিন এভিনিউয়ের ঠিক দক্ষিণে এই স্পিড ক্যামেরার অবস্থান যথেষ্ট নয়। কারণ, ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে গাড়ি চালিয়েও কীভাবে টিকিট থেকে বাঁচা যায় সে কৌশল চালকরা ভালোই জানেন।
যারা ক্যামেরার কাছাকাছি বাস করছেন তারাই কেবল সত্যিকারের পরিবর্তনটা দেখতে পাচ্ছেন। কিন্তু বাকি সড়কের জন্য নিরাপত্তার বিষয়টি এখনো অনেক দূরের। আমাদের চাওয়া অনুযায়ী পরিবর্তনটা স্পিড ক্যামেরা এনে দিতে পারছে না।
সবাই মনে করেন নগরীতে বাইক লেন ফিরিয়ে আনাটা খুব জরুরি। এটা লোকজনকে গাড়ির বিকল্প খুঁজে নিতে উদ্বুদ্ধ করবে বিশেষ করে হাই পার্কের খুব কাছাকাছি এলাকাগুলোতে।
বাইক লেন রাস্তাকে ধীর গতির করে। স্পিড ক্যামেরা এটা করতে পারে না। সাইনও এটা করতে পারে না। এ ব্যাপারে সিটি কর্তৃপক্ষ এগিয়ে আসতে হবে এবং রাস্তায় এটা ফিরিয়ে আনতে হবে।
সিটি অব টরন্টো এখন পর্যন্ত ক্যামেরা থেকে ইস্যু করা ফাইন বাবদ ৩০ লাখ ডলার সংগ্রহ করেছে। অধিকাংশ চালকই এই এলাকায় গতিসীমা লঙ্ঘনের ঘটনায় ১০০ ডলারের টিকিট পেয়েছেন। এত কম সময়ে স্পিড ক্যামেরার এত বিপুল সংখ্যক টিকিট ইস্যু করাটা সত্যিই উদ্বেগের। এ থেকে এটা স্পষ্ট যে, এ ব্যাপারে আরও অনেক কিছু করার আছে।