লবিস্টদের ব্যাপারে আইন পর্যালোচনার জন্য অ্যাটর্নি জেনারেলকে নির্দেশনা দিয়েছেন অন্টারিওর প্রিমিয়ার ডগ ফোর্ড। লবিস্টরা আইন ভঙ্গ করলে জেলবাসের মেয়াদ বৃদ্ধিসহ জরিমানার পরিমাণ বাড়ানোরও নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।
ইন্টেগ্রিটি কমিশনারের প্রতিবেদন সামনে আসার পরিপ্রেক্ষিতে এই নির্দেশনা দিলেন প্রিমিয়ার। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আবাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মীর কাছে প্রবেশাধিকার থাকা কিছু ডেভেলপারকে গ্রিনবেল্টের জমি বরাদ্দের ক্ষেত্রে অন্যায় সুবিধা দেওয়া হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হেয়ছে, অনিবন্ধিত একজন লবিস্ট জমি মালিকের সঙ্গে চুক্তির বিনিময়ে আবাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মীকে লাঞ্চ, র্যাপ্টরস টিকিট এবং গল্ফ খেলার প্রস্তাব দিয়েছিলেন।
অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে কর্মকর্তারা বলেছেন, এটা পরিস্কার যে, কিছু মন্দ লোক এই ব্যবস্থাটির বাড়তি সুবিধঅ কাজে লাগিয়েছে। আমাদের সরকার এই ধরনের আচরণ সহ্য করে না এবং করবেও না। আমাদের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় পাবলিক অ্যাডভোকেসির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকলেও সেটা হতে হবে স্বচ্ছতার সঙ্গে নৈতিকতা মেনে।
লবিস্ট সংক্রান্ত আইনের পর্যালোচনা আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই শুরু করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সরকার। প্রিমিয়ারের সুপারিশকৃত বিছু পরিবর্তনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়। এর মধ্যে রয়েছে উচ্চ মাত্রায় জবাবদিহিতা এবং আইন ভঙ্গকারীদের জরিমানার পরিমান ও কারাবাসের সময় বৃদ্ধি। এই মুহূর্তে এ ব্যাপারে এর বেশি তথ্য জানা যায়নি।
বর্তমান আইন অনুযায়ী, লবিস্ট রেজিস্ট্রেশন আইনের আওতায় কেউ অপরাধ করলে তাকে সর্বোচ্চ দুই বছর পর্যন্ত লবিংয়ের ক্ষেত্রে নিষিদ্ধ করা হয়ে থাকে। আইন ভঙ্গকারীর নাম এবং কী ধরনের লঙ্ঘন তিনি করেছেন তাও প্রকাশ করা হয়ে থাকে। প্রথমবার অপরাধের জন্য তাদেরকে সর্বোচ্চ ২৫ হাজার ডলার জরিমানা এবং একই অপরাধ আবারও করলে এক লাখ ডলার পর্যন্ত জরমিানার বিধান রয়েছে।