গ্রোসারি পণ্যের বার্ষিক মূল্য এখনো সার্বিক মূল্যস্ফীতির হারের চেয়ে বেশি বাড়ছে। তবে সময় যত গড়াবে বৃদ্ধির হার তত স্বাভাবিক হয়ে আসবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
স্ট্যাটিস্টিকস কানাডার তথ্য অনুযায়ী, জুলাইয়ে গ্রোসারি পণ্যের দাম বেড়েছে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৮ দশমিক ৫ শতাংশ। তবে চলতি বছরের জুনের তুলনায় ৯ দশমিক ১ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। মূল্যবৃদ্ধি হ্রাসের কারণ মূলত তাজা ফল ও বেকারি পণ্যের মূল্য কমে যাওয়া।
সাড়ে আট শতাংশ মূল্যবৃদ্ধি এখনো হেডলাইন মূল্যস্ফীতির চেয়ে অনেক বেশি। জুলাইয়ে হেডলাইন মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ৩ শতাংশ। গত বছর যেখানে মূল্যস্ফীতির হার ছিল আট শতাংশের বেশি। সে হিসাবে মূল্যস্ফীতি লক্ষণীয় হারে হ্রাস পেয়েছে বলা যায়।
অন্টারিওর ইউনিভার্সিটি অব গুয়েল্ফের ফুড ইকোনমির অধ্যাপক মাইকেল ভন মাসো বলেন, তবে খাদ্যের বার্ষিক মূল্যবৃদ্ধির দিকে তাকালে পুরো চিত্রটা পাওয়া যাবে না। খাদ্যের দাম সবচেয়ে বেশি বেড়েছে গত হেমন্তে। এর ফলে বার্ষিক মূল্যস্ফীতিও বেড়েছিল। মাসিক হিসাবে গ্রোসারি পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি জুলাইয়ের সার্বিক মূল্যস্ফীতির চেয়ে কম আছে। তবে এটা অস্বীকার করার উপায় নেই যে, খাদ্যের দাম এখনো অনেক বেশি। এর প্রভাব টের পাচ্ছেন ভোক্তারা। খাদ্য ক্রয় থেকে আমরা বিরত থাকতে পারি না। চাইলে আমরা ড্রাইভিংয়েংর অভ্যাস বদলাতে পারি। নতুন কম্পিউটার ক্রয় থেকে বিরত থাকতে পারি। কিন্তু খাদ্য ক্রয় থেকে বিরত থাকার উপায় নেই।
মাসো বলেন, ব্যাংক অব কানাডার সুদের হার বৃদ্ধির প্রত্যক্ষ কোনো প্রভাব খাদ্য মূল্যস্ফীতির ওপর নেই। তবে রেস্তোরাঁ ও গ্রোসারি স্টোরে ভোক্তাদের ব্যয় কমাতে পরোক্ষ প্রভাব রাখতে পারে। তবে সেটা একটা নির্দিষ্ট মাতা পর্যন্ত।