অন্টারিওর একটি বেসরকারি সামার ক্যাম্প ও এর সাবেক পরিচালকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির দুটি মামলা করা হয়েছে। ১৯৯০ এর দশকে যৌন হয়রানির এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত ডেভিড লাটিমার কিছুদিন আগ পর্যন্তও অন্টারিওর মিন্ডেনের কিলকু ক্যাম্পের দীর্ঘমেয়াদি পরিচালক ছিলেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, ১৯৯০ এর দশকের গোড়ার দিকে এবং ২০০০ সালের শেষ দিকে তিনি তরুণ ক্যাম্প কর্মীর ওপর যৌন নির্যাতন চালান তিনি।
অ্যাটেন্ডি ও সাবেক কর্মী উভয়েই ৬১ বছর বয়সী লাটিমারের বিরুদ্ধে বাদিকে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনেছেন। ক্যাম্পের বিরুদ্ধে তাদেরকে রক্ষায় ব্যর্থতার অভিযোগ আনা হয়েছে। বাদি অভিযোগে বলেছেন, লাটিমার বিশেষ অবস্থান, কর্তৃত্ব এবং বিশ^াসের অধিকারী ছিলেন। তারা লাটিমারের ওপর নির্ভরশীল ও নাজুক অবস্থায় ছিলেন।
তবে লাটিমারের বিরুদ্ধে তোলা এসব অভিযোগ এখন পর্যন্ত আদালতে প্রমাণিত হয়নি। লাটিমারের আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনিও এ ব্যাপারে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করতে চাননি।
কিলকু ক্যাম্পের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মামলা দায়েরের খবর জানতে পেরে তৎক্ষণাৎ তারা নতুন পরিচালক নিয়োগ দিয়েছেন এবং লাটিমার ক্যাম্পের পরিচালনার সঙ্গে এখন আর সম্পৃক্ত নন। এ ঘটনায় যেকোনো তদন্তে তারা সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।
এক বিবৃতিতে ক্যাম্প কর্তৃপক্ষ বলেছে, অভিযোগে ক্যাম্পেন নাম উল্লেখ করা হলেও এটা কেবলমাত্র সাবেক পরিচালকের কর্মকা-ের সঙ্গে সম্পৃক্ত।
আদালতের নথিতে বাদিদের জে. ডু নম্বর ওয়ান এবং জে. ডু নম্বর টু হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। জে. ডু নম্বর ওয়ান এক বিবৃতিতে বলেছেন, ১৯৯০ এর দশকের গোড়ার দিকে সপ্তাহব্যাপী কিলকু ক্যাম্পের এক আউটডোর লার্নিং প্রোগ্রামে পরপর দুই বছর অংশ নেন। সেখানে তার মা, বোন উপস্থিত ছিলেন। লাটিমার তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক স্থাপনে তার অবস্থানকে ব্যবহার করেন। ক্যাম্পে প্রথম সপ্তাহ কাটানোর পর তাদেরকে তার গল্ফ কার্টে করে বিশেষ কোনো স্থানে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেন এবং গাড়ির মধ্যেই জে. ডু নম্বর ওয়ানকে যৌন হেনস্থা করেন।
দ্বিতীয় অভিযোগকারী জে. ডু নম্বর টু ২০০০ এর দশকের গোড়ার দিকে ১২ ও ১৪ বছর বয়সে ক্যাম্পে যোগ দেন। এরপর লাটিমার তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলেন এবং তাকে আদর করে বিশেষ এক নামে ডাকতেও শুরু করেন। ২০০৫ সাল নাগাদ তিনি ক্যাম্পের মৌসুমি স্বেচ্ছাসেবী হয়ে ওঠেন। আর ২০০৯ সালে তিনি ক্যাম্পের একজন কর্মী হন। ২০০৯ সালে বাদির বয়স যখন ১৯ বছর তখন লাটিমার তার সঙ্গে অশোভন আচরণ করে বসেন। এরপর আধ্যাতিকতা ও প্রেমের সম্পর্কের আবরণে তাকে যৌন নির্যাতন করে যেতে থাকেন।