বিচ্ছিন্ন এক সন্তানকে টরন্টো থেকে বাড়ি ফেরাতে কয়েক মাস ধরে চেষ্টা করছেন প্রিন্স এডওয়ার্ড আইল্যান্ডের (পিইআই) এক মা। এই ঘটনা পরিবারগুলোর মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভোগা সদস্যদের স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তির ভোগান্তির বিষয়টি উঠে এসেছে। এর মধ্য দিয়ে সামাজিক সহায়তা না পাওয়ার বিষয়টিও সামনে এসেছে বলে জানিছেন স্থানীয় এক স্ট্রিট নার্স।
মারলিন ব্রেন্টনের প্রাপ্ত বয়স্ক ছেলের মধ্যে ভ্রম শুরু হয় পাঁচ বছর আগে এবং পরীক্ষা নিরীক্ষার পর তার মারাত্মক মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা ধরা পড়ে। প্রথমদিকে তিনি মেরিটাইমসের বিভিন্ন স্থানে থাকতেন। কিন্তু এ বছরের গোড়ার দিকে অন্টারিওর দক্ষিণাঞ্চলে থিতু হন। এর কিছুদিন পর থেকেই ব্রেন্টন তার ফেসবুক প্রোফাইলে ও স্থানীয় কমিউনিটিগুলোর কাছে সন্তানকে খুঁজে পাওয়ার উপায় নিয়ে জানতে চান।
সিপি২৪কে বেন্টন বলেন, যারা তার সন্তানকে দেখেছেন ও সহায়তা করেছেন তাদের কাছ থেকে জানুয়ারি থেকে হাজারো বার্তা পেতে শুরু করেন। সম্প্রতি তার সন্তানকে টরন্টোর পশ্চিমাঞ্চলে দেখা গেছে। এটা সত্যিই অবাক করার মতো বিষয়। সে যে এখনো বেঁচে এটাই আমাদের জন্য স্বান্তনার বিষয়। আমি যদি এই ছবিগুলো না দেখতাম তাহলে ভাবতাম সে বোধহয় পাগল হয়ে গেছে।
সন্তানকে প্রিন্স এডওয়ার্ডে ফিরিয়ে আনতে আইনি উপায়গুলোও খুঁজে দেখছেন ব্রেন্টন। সেখানে তার ছেলে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দিতে চান তিনি। ব্রেন্টনের তথ্য অনুযায়ী, তার সন্তান যে অসুস্থ্য সেটা সে স্বীকার করে না এবং চিকিৎসা নিতেও অস্বীকৃতি জানিয়েছে সে।
কানাডার বিভিন্ন প্রদেশের মানিসক আইন অনুযায়ী, যে কেউ জাস্টিস অব দ্য পিস ইস্যু করতে পারেন, যার আওতায় স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে থাকা কাউকে পুলিশ মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য চিকিৎসকের কাছে ধরে আনতে পারে। অন্টারিওতে কোনো রোগীকে তিনদিন পর্যন্ত হাসপাতালে আটকে রাখার জন্য চিকিৎসককে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। তবে ওই ব্যক্তি নিজের বা অন্যদের ক্ষতি করতে পারেন বলে প্রতীয়মান হতে হবে। সেই সঙ্গে তার যে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা রয়েছে সে ব্যাপারেও প্রমাণ থাকতে হবে।
তার সন্তান এর আওতায় পড়ে বলে বিশ^াস ব্রেন্টনের। কারণ, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লোকজনের কাছ থেকে তিনি এটা জেনেছেন যে, তার কিছু কর্মকা- যেমন রাস্তার ওপর ঘুমানো অনিরাপদ এবং তার নিজের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।