
মেট্রো টরন্টো কনভেনশন সেন্টারে ৪ থেকে ৬ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হলো ‘দ্য ন্যাশনাল ওমেন শো’। আয়োজকরা এই শো এর নামকরন করেছিলেন ‘দ্য আল্টিমেট গার্লস ডে আউট’। বৈচিত্র্যময় ৪৬০ টার বেশী বুথ ছিলো এখানে। ছিলো পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ ও সংস্কৃতির খাবার, প্রসাধনী, আসবাব পত্র, সাংস্কৃতিক পরিবেশনাসহ আরো অনেক কিছু।
এই আয়োজনে প্রথমবারের মত যোগ দিয়েছিলেন বাংলাদেশী নারী উদ্যোক্তা ফরিদা পপি। সেখানে তিনি বাংলাদেশের দেশের পতাকা উড়িয়ে বিশ্ব দরবারে করেছেন আমাদের মুখ উজ্জ্বল। বেশীরভাগ কানাডিয়ান ক্রেতার সমাগম সত্ত্বেও প্রথম দিনেই দুই স্বাদের আচার শেষ হয়ে যায়, যেটা তাকে অনেক বেশী অনুপ্রাণিত করে আগামী দিনের জন্য।
ফরিদা পপি বাংলাদেশী কমিউনিটির একজন পরিচিত মুখ। খাঁটি বাঙালিয়ানা আচারের জন্য ‘পপি’স আর্ট অব কুকিং’ বাংলাদেশি কম্যুনিটিতে ইতিমধ্যেই বেশ পরিচিতি লাভ করেছে।
বর্তমানে পপি’স আচার মিসিসাগা, টরন্টো, স্কারবোরো, পিকারিং এর ১২ টি বাংলাদেশী গ্রোসারীতে পাওয়া যাচ্ছে। তার সঙ্গে আলাপকালে জানা গেলো, তার আচার যাচ্ছে অটোয়া, মন্ট্রিয়াল, ক্যালগেরি, ভ্যানকুভার, কলকাতা, বাংলাদেশ, নিউইয়র্ক, নিউজার্সিসহ আরও অনেক শহরে। এই মুহুর্তে আমেরিকার বিভিন্ন স্ট্যাট থেকে আসছে অনুসন্ধান, কিভাবে তারা পেতে পারে এই আচার।
তিনি বললেন, আজ যতটুকু করতে পেরেছি,তার পুরোটাই সম্ভব হয়েছে আমার দুই সন্তানের জন্যে, তারা সবসময় ছায়ার মত পাশে থাকে এবং সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়। আরও আছে অসংখ্য বন্ধু-শুভাকাঙ্খী। পুরো বাংলাদেশী কমিউনিটি আমার পাশে, এটাই আমার বিরাট প্রাপ্তি।
পপি আরও জানালেন যে, ন্যাশনাল ওমেন শো চলাকালীন তিনি অফার পেয়েছেন তুরস্ক এবং মেক্সিকোতে তার প্রতিষ্ঠানের আচার প্রদর্শন করার।
উদ্যমি উদ্যেক্তা ফরিদা পপিকে অভিনন্দন, বাংলাদেশী আচার ও সংস্কৃতিকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরার জন্য।