গত বছরের মে মাসে শীতের এক দিনে ভ্যানকুভার বিমানবন্দরের কার্বে আটকা পড়েছিলেন হিদার ওয়াকাস। প্রায় এক ঘণ্টার মতো কোনো ধরনের সহায়তা পাননি তিনি।
অবশেষে এয়ার কানাডার একজন কর্মী তার সাহায্যে এগিয়ে আসেন। ওয়াকাস অন্ধ এবং শারিরীক নানা সমস্যায় ভুগছিলেন। ওই কর্মী তাকে চেক-ইন কাউন্টারে নিয়ে যান এবং তাকে ফটক পর্যন্ত এগিয়ে দেন। এরপর ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার পেনটিক্টনের ফ্লাইটটি বিলম্বিত হলে আবারও তিনি অপেক্ষার ফাঁদে আটকা পড়েন।
তিনি বলেন, একা একাই আমাকে চার ঘণ্টা হুইলচেয়ার কাটিয়ে দিতে হয়। এ সময় কেউ আমাকে চেক করেনি। আমি বাথরুমে যেতে পারিনি। আমি কিছু খেতে পাইনি। আমাকে সাহায্য করতে পারে এমন কাউকে আমি পাইনি। তারা চেয়েছিলেন আমি যেনো চেয়ার থেকে উঠে সিঁড়ি ভেঙে আমার ফ্লাইটে উঠি।
কাউন্সিল অব কানাডিয়ান্স ডিসঅ্যাবিলিটিজের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার যাচ্ছিলেন ওয়াকাস। তিনি বলেন, লাগেজের মতো আমাকে পার্ক করে রাখা হয়েছে বলে মনে হচ্ছিল। আমাকে ফেলে রাখা হয়েছিল।
এয়ার ট্রাভেলের অনির্ভরযোগ্য সহায়তা নিয়ে যারা সরব হয়েছেন ওয়াকাস তাদের অন্যতম। কমিউনিটি নেতারা মোবিলিটি এইডস, অপ্রশীক্ষিত কর্মী ও চেক-ইন এবং বোর্ডিং প্রক্রিয়াকে স্লো মোশন রিলের সঙ্গে তুলনা করেছেন।
শারীরিকভাবে অক্ষম যাত্রীদের অভিজ্ঞতা উন্নত করতে এয়ার কানাডা নতুন পদক্ষেপের প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পর এই সমালোচনা উঠল। যাত্রীদের সহায়তা না করা সংক্রান্ত প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পরিবহনমন্ত্রী পাবলো রড্রিগেজ এয়ার কানাডার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাইকেল রুশোকে অটোয়াতে ডেকে পাঠিয়েছিলেন।