
গত বসন্ত থেকে ডমিনিকান প্রজাতন্ত্রে আটক ১১ কানাডিয়ান অবশেষে বাড়ি ফিরছেন। শুক্রবার এ তথ্য জানা গেছে।
এই মামলার আইনজীবী টরন্টোভিত্তিক কোম্পানি পিভোট এয়ারের পাঁচজন ক্রু ও সাতজন যাত্রীর মুক্তি চেয়ে কাগজপত্র দাখিল করেন। ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্রে যেতে গত ৩১ মার্চ এয়ারলাইনটির একটি উড়োজাহাজ ভাড়া করেন যাত্রীরা।
যাত্রী ও ক্রুদের বাড়ি ফিরতে বিচারকের অনুুমোদন এখনো বাকি। তবে সেটা শুধুই আনুষ্ঠানিকতা বলে জানা গেছে।
৫ এপ্রিল গ্রুপটি কানাডায় ফিরতে ফ্লাইটের প্রস্তুতি নেওয়ার সময় পিভোট এয়ারের মেকানিক এয়ারলাইনে ৮টি ব্যাগ দেখতে পান। উড়োজাহাজের ক্রু তাৎক্ষণিক স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানালে ব্যাগে ২১০ কেজি কোকেন পাওয়া যায়। এরপর ক্রু ও যাত্রীদের পাসপোর্ট জব্দ করা হয় এবং তাদেরকে আটক করে ডোমিনিকান জেলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
ডব্লিউফাইভকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নারী যাত্রীরা বলেন, কারাগারে তাদের কামরাগুলো এতোটাই ছোট ছিল যে, ঘুমানোর জন্য মেঝেতে শয়ন করলে তাদের পা শিকের বাইরে বেরিয়ে যেতো। কাঁদলে তাদেরকে শাস্তি দেওয়া হতো বলেও জানান তারা।
পুরুষদেরকে দিনের বেল খাবার ও পানি ছাড়াই রাখা হতো এবং সব সময় হুমকির মধ্যে থাকতে হতো তাদের। জামিনে মুক্তি পাওয়ার আগে ক্রুদেরকে নয়দিন এবং যাত্রীদের ২১ দিন কারাগারে রাখা হয়েছিল। মুক্তি পেলেও তাদের ওপর দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা ছিল। ২৫০ দিন আগে আটকের পর থেকে ক্রুরা ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্রে আটকা আছেন এবং ৫০ আসনের জেটে কীভাবে কোকেন এলো কর্র্তপক্ষ তা তদন্ত করছে বলে জানানো হয়েছে।
ক্রু ও যাত্রীরা জানিয়েছেন, কখনোই তাদের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়নি এবং তাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগও দায়ের করা হয়নি।
কবে নাগাদ ১২ কানাডিয়ান ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্র থেকে কানাডায় ফিরতে পারবেন সেটা এখনো অস্পষ্ট। কাগজপত্র তৈরি করতে দুই সপ্তাহের মতো সময় লাগবে বলে তাদেরকে জানানো হয়েছে।