৯ ও ১০ এপ্রিলের সন্ধিক্ষণ, রাত ১১টায় গুলশান ক্লাবের ক্রিস্টাল পেলেসে জন্মদিন ও স্মরণ অনুষ্ঠান তাও আবার যার তার নয়! বাংলাদেশে বিজ্ঞাপন জগতের পথিকৃত সাহসী, বর্ণময় প্রাক্তন সংসদ সদস্য রেজা আলীর। অনুষ্ঠানের শিরোনাম ‘ অসমান্তরাল রেজা আলী’।এক বিটপী বিজ্ঞাপনী সংস্থা থেকে তিনি হাজারো আর্টিফিশিয়াল নয় সত্যিকার ইন্টিলিজেন্স মনুষ তৈরী করে বিশ্বময় ছড়িয়ে দিয়েছেন। ঢাকায় বসবাসকারী এদেরই দুই চার জন রেজা ভাইয়ের মত বিপরীত মুখি হেঁটে নতুন মাত্রা যোগ করলেন, মধ্যরাতে অনুষ্ঠান করে।
রোজাকালে মধ্যরাতে জমজমাট জন্মদিন উৎসব এতো নতুন কিছু। ১১টায় শুরু, ১২টায় কেক কাটা দেড় থেকে দুইয়ে আর্লি সেহেরী-ডিনার। এরই মধ্যে রেজা ভাইয়ের বিটপীতে তৈরী মনুষেরা ও গণ্যমাণ্য স্বনামধন্য ব্যক্তিত্বগণ রেজা ভাইকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন, আর গান হয় ফাঁকে-ফাঁকে। আয়োজকের পুরধা দুইজন কবির হোসেন তাপস এএইচকিউ এ্যাড হেড কোয়ার্টারের অধিপতি ও দ্বিতীয়জন এ জেড এম সাইফ পেপার রাইমের অধিপতি। সঙ্গে গালীব আনসরী আর সৈয়দ ইকবাল কর্মযজ্ঞে সংযুক্ত ছিলেন। ‘অসমান্তরাল রেজা আলী’ তাপস হাতে মাইক্রোফোন নিয়ে ঘুরে ঘুরে খুবই ক্যাজুয়াল ভাবে কথা শুরু করলেন।
আলো আঁধারীতে মঞ্চ খালি শুধু আলোকিত হয়ে ডায়েসে ধরে দাঁড়িয়ে আছন রেজা আলী। কিছুক্ষণ থিতু হলে বোঝা যায় রেজা আলীর প্রমাণ সাইজ কাট আউট এটি। আইডিয়াটি চমৎকার। গুণী রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী সাদী মোহাম্মদ গান গেয়ে শুরু করলেন অনুষ্ঠান, এরপরেই বর্ষীয়ান নেতা ইনাম আহমেদ চৌধুরী বল্লেন, সম্পর্কে মামা ভাগ্নে হলেও ছিলেন বন্ধুর মতো। আসাদুজ্জামান নূর শুরু করলেন এই বলে যে তার জীবনের প্রথম চাকরী রেজা ভাই দিয়েছিলেন, তার লেটার প্রেস বারিধীতে। প্রায় অনেকক্ষণ পুরোনো দিনের মনে করিয়ে বলে গেলেন। প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান আরো বেশি সময় নিয়ে রেজা আলীর জীবনের প্রথম দিকের, ছাত্র জীবনের বাম রাজনীতির পক্ষে আগ্রহ কথা বল্লেন। সবাইকে চমকে দিয়েছিলেন যখন তিনি বল্লেন – নাঈমা আলীর শিক্ষক ছিলাম । এরপর অভিনেত্রী ও গায়িকা শাওন খালি গলায় কী অপূর্বই না গাইলেন, প্রথমটি রবীন্দ্রনাথের পরেটি হুমায়ূন আহমেদের।
এরপরই তাপস বলেন – আর মাত্র ১৫ মিনিট বাকি আছে ১০ এপ্রিল হতে। এখনো আছে ৯ এপ্রিলের আমরা, এখন একের মধ্যে দুই অর্থাৎ ৯ এপ্রিল হচ্ছে সৈয়দ ইকবালের জন্মদিন। সাইফের ইশারায় ক্লাবে কর্মকর্তারা ট্রলী টেবিলে কেক সামনে এনে রাখলো। সৈয়দ ইকবাল সাপ্রাইজ হলেও বুঝলেন প্রিয় সাইফ আর তাপসের কাজ। কেকের সামনে হেঁটে গিয়ে দাঁড়াতে পাশে সস্নেহে রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী নাঈমা আলী, রেজা আলীর কন্যা সারা আলী, অভিনেত্রী শাওন, মুন্নী সাহা ও জই মামুন এসে দাঁড়ালেন। সাবাই তালি দিয়ে গাইতে লাগলেন হ্যাপী বার্থডে টু ডিয়ার ইকবাল ভাই। কেক কাটার পর নাঈমা আলী সৈয়দ ইকবালকে কেক খাইয়ে দিলেন।
শাওন ও সারা আলীকে খাইয়ে দিলেন সৈয়দ ইকবাল।যথারীতি ১২টা বাজার আরো ৫মিনিট বাকি আছে বলে রেজা আলীর ছোট ছেলে মিশালকে বাবা সম্পর্কে বলতে বল্লেন। এরপরই ঠিক ১২টার ঘন্টা বাজতে ১০ এপ্রিল জন্মদিন রেজা আলীর। এই প্রথম তার জন্মদিনে তিনি নেই। রেখে গেছেন দুই সুপুত্র মিরান আলী ও মিশাল আলী, এক কন্যা সারা আলী, যে এখন বাবার হাতে গড়া প্রিয় বিটপীর কর্ণধার। অনুষ্ঠানে ঢাকার কর্পোরেট ও গার্মেন্টস সেক্টরের হোমড়া চোমড়া অনেকেই ছিলেন। কথা বল্লেন সালাউদ্দিন লাভলু, তারেক আনাম খান, নিমা রহমান, শুভ্রদেব, ইরেশ যাকের সহ আরো অনেকে।