অ্যালার্জি মৌসুম পুরোদমে শুরু হয়েছে। কিন্তু যারা এতে ভুগে থাকেন তাদের জন্য সামনের কয়েক মাস দুর্ভোগের।
গত বছর থেকে অ্যালার্জির উপসর্গ থেকে নিস্কৃতি পাচ্ছেন না ভানেসা কম্পাগনোন। তিনি বলেন, ধুলা ও কিছু বৃক্ষে আমার অ্যালার্জি রয়েছে, যেগুলো আমি বুঝতে পারি না। এটা যদি প্রকৃতিতে হয়ে থাকে তাহলে সম্ভবত এতে আমার অ্যালার্জি রয়েছে। চলতি বছর এটা থামবে বলে মনে হয় না। সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়ে এখন পর্যন্ত চলছে। পুরো বছরই এ থেকে নিস্তার মিলবে বলে মনে হচ্ছে না।
কম্পাগনোনের এই অভিজ্ঞতা অন্যদের থেকে বিচ্ছিন্ন কিছু নয় এবং বৈজ্ঞানিক তথ্য-প্রমাণ বলছে, কানাডায় অ্যালার্জি মৌসুম দীর্ঘ হচ্ছে।
অ্যারোবায়োলজি রিসার্চ ল্যাবোরেটরিজের পরিচালক ড্যানিয়েল কোটস বলেন, কানাডাজুড়ে আমরা প্রচুর পরাগ দেখতে পাচ্ছি। আমাদের বিশ্বাস চলতি বছরটা অনেকটা খারাপ মৌসুম হতে যাচ্ছে।
অ্যালার্জি নিয়ে পূর্বাভাসের ক্ষেত্রে বিশ্বের অন্যতম বিশেষজ্ঞ প্রতিষ্ঠান এটি। কয়েক দশক ধরে তারা পরাগে লক্ষ্যণীয় পরিবর্তন নথিবদ্ধ করেছে। সেই সঙ্গে কখন এগুলো প্রকৃতিতে ছড়ায় তাও নথিবদ্ধ করছে।
পরিচালক ড্যানিয়েল কোটস বলেন, পরাগ ও আউটডোর মোল কাউন্টে বিশে^র সর্ববৃহৎ তথ্যভান্ডার রয়েছে আমাদের। গত ১৫ বছর বা এ ধরনের সময়ের তথ্যভান্ডার রয়েছে আমাদের হাতে। নিশ্চিতভাবেই আমরা পরাগের অনেক বেশি উচ্চ ঘনত্ব দেখতে পাচ্ছি। এটা কম-বেশি হয়ে থাকে। তবে সার্বিক প্রবণতা বলছে, কানাডায় প্রতি বছর গড়ে যে পরাগ হয়ে থাকে এ বছর তার চেয়ে এ বছর পরাগের মৌসুমটা দীর্ঘ হতে যাচ্ছে।