৭ অক্টোবর হামাসের সন্ত্রাসী হামলায় ভয়ঙ্কর কিছু বাস্তবতার সাক্ষী হয়েছিলেন ইসরায়েলি স্বেচ্ছাসেবী আইরিন নুরিথ কোহন। জঘন্যভাবে হত্যা করা ব্যক্তিদের মরদেহগুলো সংগ্রহে সহায়তা করার সেই অভিজ্ঞতার কথাই তুলে ধরেছেন তিনি।
মানবিক সহায়তা প্রদানকারী সংস্থা জাকার প্রতিনিধি হিসেবে বর্তমানে কানাডায় অবস্থান করছেন কোহন। ইসরায়েলে হামলার পর মাঠে থেকে কাজ করে সংস্থাটি। বিশ^ব্যাপী তাদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরার কাজটি যে গ্রুপটি করেছে তাদের অন্যতম তিনি।
২১ মার্চ সিটিভি নিউজ টরন্টোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কোহন বলেন, আমাকে এটা করার ক্ষমতা দেওয়ার জন্য ঈশ^রের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। কারণ, আমরা যা দেখেছি তা অবিশ^াস্য। তারা যে আমার বন্ধু, আমার পরিবার বিশ^ সেটা বিশ্বাস করবে বলে আমি মনে করি না।
ওই হামলায় নিহত ব্যক্তিদের ছবি সিটিভি নিউজকে দেখান কোহন। তার একজন সহকর্মীর তোলা অনেক ছবিতেই খ- বিখ- দেহ দেখা গেছে।
তিনি বলেন, আমরা এমন সব মৃতদেহ দেখেছি, যেখানে নারীদের শরীরে পোশাক ছিল না। পা দিয়ে রক্ত গড়িয়ে পড়ছে। পুরুষদের যৌনাঙ্গ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আমি মস্তকবিহীন মরদেহেও দেখেছি। এখানে হাত, আরেক জায়াগায় পা পড়ে থাকতে দেখেছি আমি।
সংঘাতের কয়েকদিন পরই ৫৯ বছর বয়সী কোহন স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে যোগ দেন। পেশায় সমাজকর্মী কোহন একজন স্কুবা ডাইভারও, যার মরদেহ উদ্ধারের দক্ষতা রয়েছে।
তিনি বলেন, টানা তিন মাস সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার তিনি ঘণ্টাব্যাপী ভ্রমণ করেছেন। ইসরায়েলি যে সংগীত উৎসবে লোকজনকে হত্যা ও অপহরণ করা হয় সেখানে গিয়েছেন। পাশাপাশি আক্রান্ত কিবুতজেও গেছেন।
প্রথমেই তিনি মরদেহগুলো ব্যাগে ভরতে সহায়তা করেছেন। পাশাপাশি তিনি নিহতদের বাড়ি-ঘর পরিস্কার এবং গাড়িতেই দগ্ধ হয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের ছাই সংগ্রহ করেন।
কোহন তার অভিজ্ঞতাগুলো বর্ণনার জন্য এ সপ্তাহেই প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, কনজার্ভেটিভ নেতা পিয়েরে পয়লিয়েভর এবং অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তা ও কমিউনিটি গ্রুপগুলোর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।