অন্টারিওর যেসব চালক বৈদ্যুতিক গাড়ির কথা ভাবছেন তারা তা গ্রহণে ধীরে চলো নীতি অনুসরণ করতে পারেন। বৈদ্যুতিক গাড়ির মালিক হতে খরচ সংক্রান্ত নতুন এক প্রতিবেদনে এমনটাই তুলে ধরা হয়েছে।
ইউনির্ভাসিটি অব ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার গবেষণায় বলা হয়েছে, কানাডার কিছু অংশে বৈদ্যুতিক গাড়ির মালিক হওয়া প্রকৃতপক্ষে ইন্টারনাল কম্বাসশন ইঞ্জিন ভেহিকেলের (আইসিইভি) তুলনায় আসলে কম ব্যয়বহুল। এক্ষেত্রে অন্টারিওর অবস্থান তালিকার শীর্ষস্থান থেকে অনেক দূরে।
গবেষণায় যেসব বিষয় বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে বৈদ্যুতিক গাড়ির ট্যাক্স রিবেট ও কর হার, চার্জিং খরচ, কোনো অঞ্চলে পরিবারের ভ্রমণ দূরত্ব এবং বিদ্যুৎ খরচ। গবেষণায় নমুনা হিসেবে ব্যবহার করা হয় গ্যাসোলিন ও ইলেক্ট্রিক মডেলের হুন্দাই কোনা। কস্ট বেনিফিট ভর হিসাব করা হয় গড় কানাডিয়ান গাড়ি মালিকানার সাত বছর সময়ের বিপরীতে।
গবেষণায় দেখা যায়, অন্টারিওতে ওই সাত বছর সময়কালে বৈদ্যুতিক গাড়ির মালিক হতে প্রায় ১১ হাজার ডলার বেশি খরচ হয়।
গবেষক দলের একজন বাসাম জাভেদ এক সাক্ষাৎকারে বলেন, শুরুতে বৈদ্যুতিক গাড়ির খরচ বেশি হলেও এগুলো পরিচালনা করা সাশ্রয়ী। আপনি যত বেশি বৈদ্যুতিক গাড়ি চালাবেন তত বেশি ইলেক্ট্রিক মাইলেজ সুবিধা পাবেন। অর্থাৎ, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আপনি প্রকৃতপক্ষে বেশি সাশ্রয় করতে পারবেন।
গবেষণার তথ্য অনুয়ায়ী, অন্টারিওতে বৈদ্যুতিক গাড়িকে গ্যাসোলিন গাড়ির চেয়ে অর্থনৈতিক বিবেচনায় লাভজনক করতে গেলে গাড়ির মালিকদের দৈনিক অন্তত ৮৮ কিলোমিটার চালাতে হবে। যা প্রদেশে চালকরা সাধারণত যে দূরত্ব পর্যন্ত গাড়ি চালান তার প্রায় দ্বিগুন।
১০টি প্রদেশ ও তিনটি অঞ্চলের মধ্যে বৈদ্যুতিক গাড়ির মালিক হওয়া সবচেয়ে সাশ্রয়ী কুইবেকে। এর কারণ মূলত উচ্চ ক্রয় ভর্তুকি এবং বিদ্যুতে কম মূল্য।
জাভেদ বলেন, প্রথাগত কারের চেয়ে বৈদ্যুতিক গাড়িকে লাভজনক করতে হলে কুইবেকে একটি বৈদ্যুতিক গাড়ির মালিককে অবশ্যই প্রতিদিন ন্যূনতম ৪৬ কিলোমিটার চালাতে হবে।