প্রায় তিন সপ্তাহ আগে সাইবার হামলা চালানো হ্যাকারদের কোনো ধরনের মুক্তপণ দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে সিটি অব হ্যামিল্টন। র্যানসামওয়্যার হামলাটি চালানো হয় ২৫ ফেব্রুয়ারি। এতে সিটির সেবাগুলো বিঘিœত হয়। এর মধ্যে রয়েছে টেলিফোন সেবা, ট্রানজিট সূচি, কর সেবা এবং অন্টারিও ওয়ার্কস অ্যান্ড স্পেশাল সাপোর্টস।
হ্যামিল্টনের মেয়র আন্দ্রিয়া হরওয়াথ ১৫ মার্চ এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, হ্যাকারদের চাহিদা বিপুল পরিমাণ অর্থ। তবে হ্যাকাররা ঠিক কী পরিমাণ অর্থ মুক্তিপণ হিসেবে দাবি করেছে মেয়র তা উল্লেখ করেননি। শুধু বলেছেন, পরিমাণটা অনেক বেশি। এই হামলায় কারো ব্যক্তিগত তথ্য খোয়া গেছে বলে সিটি বিশ^াস করে না।
সিটি ব্যবস্থাপক মার্নি ক্লাকি যোগ করেন, এনক্রিপ্টেড হওয়ায় সিটি উপাত্তে ঢুকতে পারবে না। তবে তাদের ব্যাকআপ আছে। সব তথ্য-প্রমাণ ও সাইবার বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে বলা যায়, এনক্রিপ্টেড হওয়ায় সংস্থার কাছ থেকে তা সরিয়ে ফেলা যায়নি, এসব উপাত্ত হস্তগত করা যায়নি। সুতরাং, এসব উপাত্ত খোয়া যায়নি।
সেবাসমূহ স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে সিটি ব্যবস্থাপক বলেন, ফায়ার ও প্যারামেডিকের পাশাপাশি সুরক্ষা সংক্রান্ত সেবাসমূহ সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত। এদিকে সিটি কর্তৃপক্ষ হামলা প্রতিরোধে এখনো কাজ করে যাচ্ছে এবং এর আইটি ব্যবস্থা গড়ে তুলছে। এটা এখনো শেষ হয়ে যায়নি। দুষ্টু লোকেরা এখনো সেখানে রয়েছে। হ্যাকাররা অধিকাংশ সংস্থার চেয়ে অনেক বেশি এগিয়ে। কারণ, তারা দিন-রাত এটাই করে।