স্থায়ী সংরক্ষণের আওতায় আসছে বিশে^র অন্যতম নান্দনিক জলাভূমি ও বনভূমি হিসেবে স্বীকৃত ব্ল্যাক বে পেনিনসুলার আরও একটি বড় অংশ। এই অংশে আর কখনোই কোনো উন্নয়ন করা যাবে না।
নেচার কনজার্ভেন্সি অব কানাডা (এনসিসি) এ সপ্তাহে এক ঘোষণায় বলেছে, থান্ডার বের প্রায় ১০০ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত ৫০ হাজার হেক্টরের বনভূমির মধ্যে ১৯১ হেক্টর তারা অধিগ্রহণ করেছে। বেসরকারি এক মালিকের কাছ থেকে ১ লাখ ৭৪ হাজার ডলারে এভারবেড এরিয়ার ওই জমি তারা কিনে নিয়েছে।
বিক্রেতার নাম প্রকাশ করা হয়নি। নেচার কনজার্ভেন্সি অব কানাডা নর্দার্ন অন্টারিওর পরিচালক কাইটলিন রিচার্ডসন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছেন, সংরক্ষণের এই উদ্যোগ স্তন্যপায়ী প্রাণিদের চলাচলের জন্য বড় ও সংরক্ষিত করিডোর সৃষ্টিতে সহায়তা করবে। লেক সুপিরিয়রের উত্তর দিকের স্থলভাগে উপকূলীয় জলাভূমি বিরল, যা ব্ল্যাক বে পেনিনসুলাকে হরিণের বিশেষ আশ্রয়স্থলে পরিণত করেছে। শাবক প্রসবকালে এই জলাভূমির ওপর বিশেষভাবে নির্ভরশীল হয়ে পড়ে তারা।
পেনিনসুলাটি লেক সুপিরিয়রের ওপর নিপিগন থেকে ব্ল্যাক বেকে পৃথক করেছে। এভারার্ড রোড জলমগ্ন থাকে এবং কেবল শীতকালেই এই পথ দিয়ে চলাচল করা যায়। অন্টারিও নেচারের মতো পরিবেশবাদি গ্রুপগুলো অন্তত ২৫ বছর ধরে পেনিনসুলায় সারাবছর চলাচলের উপযোগী সড়ক নির্মাণের বিরোধিতা করে আসছে।
পেনিনসুলায় আরও কিছু সংরক্ষিত এলাকা আছে। প্রাদেশিক ব্ল্যাক বে বগ কনজার্ভেশন রিজার্ভ তার মধ্যে অন্যতম। ব্ল্যাক বে পেনিনসুলার বৃহৎ এই অংশসহ লেক সুপিরিয়র অঞ্চলের ৯ হাজার ১০০ হেক্টর সংরক্ষিত জমি নিয়ন্ত্রণের সুযোগ পাবে নেচার কনজার্ভেন্সি অব কানাডা।
অন্টারিও নেচারের তথ্য অনুযায়ী, ব্ল্যাক বে পেনিনসুলা বিপুল কার্বন সংরক্ষণকারী। এর কার্বন সংরক্ষণের সক্ষমতা ৩ কোটি ৩০ লাখ টন।
নেচার কনজার্ভেন্সি অব কানাডার এই অধিগ্রহণকে দারুণ উল্লেখ করে নিপিগনের মেয়র সুজানে কুক্কো ২ ফেব্রুয়ারি বলেন, এই বনভূমির বাস্ততান্ত্রিক গুরুত্ব অপরিসীম। উন্নয়নের অর্থ হলো আবাসভূমির ক্ষতিসাধন এবং বিপুল পরিমাণ কার্বন নিঃসরণ।