শুক্রবার, মে ১৭, ২০২৪
13.9 C
Toronto

Latest Posts

অনীতা আনন্দের প্রথম লক্ষ্য সশস্ত্র বাহিনীর সংস্কৃতিতে পরিবর্তন আনা

- Advertisement -

কর্পোরেট বোর্ডরুম। সামরিক ব্যারাক। ফেডারেল সরকারের অফিস। সুনামের সঙ্গে বৈচিত্র্য তুলে ধরার জন্য এগুলো কোনো জায়গা নয়। এটা পরিবর্তনের চেষ্টা করেছেন অনীতা আনন্দ।

- Advertisement -

সব শ্রেণিপেশার মানুষের মধ্যে গ্রহণ করার অনুভূতি তৈরি করা এবং রাস্তাটি তার মিশন যা তার জীবনের বিভিন্ন পর্যায় এবং ক্যারিয়ারে অনুসরণ করেছে। সাম্প্রতিকি এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানান অনীতা আনন্দ। ট্রেজারি বোর্ডের প্রথম অশে^তাঙ্গ প্রেসিডেন্ট আনন্দ বলেন, এটা আমার জন্য খুবই ব্যক্তিগত বিষয়। এখনো আমি কক্ষগুলোর মধ্যে হেঁটে বেড়াই এবং যেসব টেবিলে বৈচিত্র্য নেই সেগুলোর দিকে তাকাই।

গত ফেব্রুয়ারিতে আনন্দ কৃষ্ণাঙ্গ সরকারি কর্মীদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য পরামর্শ সংক্রান্ত এক ব্রিফিংয়ে অংশ নেন। কিন্তু কক্ষে কোনো কৃষ্ণাঙ্গ কর্মীই ছিলেন না। তিনি বলেন, তাদের কাছে আমি ব্রিফিং চেয়েছিলাম। কেন কোনো কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তি আমার সামনে পড়েছ না? এটা গ্রহণযোগ্য নয়।

তার দায়িত্বের মধ্যে রয়েছে ফেডারেল পাবলিক সার্ভিস সিস্টেমের মধ্যে যে পদ্ধতিগত প্রতিবন্ধকতাগুলো রয়েছে সেগুলো ভেঙে দেওয়া। পদ্ধতিগত এই প্রতিবন্ধকতার কারণেই কর্মক্ষেত্রে হয়রানি, বুলিং, বর্ণবাদ ও অন্যান্য ধরনের বৈষম্য ও সহিংসতা পুষ্ট হওয়ার সুযোগ পায়। সব পর্যায়েই এটা হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন আনন্দ।

তিনি বলেন, সত্যিকার অর্থে আমরা যেটা চাই তা হলো মন্ত্রী, উপমন্ত্রী ও সহকারী উপমন্ত্রী পর্যায়ের ব্রিফিংয়ে বৈচিত্র্য নিশ্চিত করতে।

বর্ণবাদী বৈষম্যের অনুভূতি কমেন হতে পারে আনন্দের কাছে তা অজানা নয়। ২০১৯ সালে অন্টারিওর ওকভিল থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার আগে তিনি একজন আইনজীবী আইনের অধ্যাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বলেন, একটি কর্মক্ষেত্রে লোকজন তাকে প্রায়ই জিজ্ঞাসা করতেন তিনি হিসাব বিভাগে কাজ করতেন কিনা। এটা আমার মাথায় গেঁথে যায়। কারণ, সেখানকার ল স্কুলগুলোর তুলনায় হিসাব বিভাগে দক্ষিণ এশীয়দের সংখ্যা বেশি ছিল।

আনন্দের ভারতীয় চিকিৎসক বাবা-মার মধ্যে ১৯৫০ এর দশকে আয়ারল্যান্ডে সাক্ষাৎ হয় এবং ইংল্যান্ডে বিয়ে করেন তারা। কানাডায় অভিবাসী হওয়ার আগ পর্যন্ত তারা ভারত ও নাইজেরিয়ায় বসবাস করেন। আনন্দ বলেন, তারা তাদের তিন কন্যাকে শে^তাঙ্গ অধ্যুষিত প্রদেশে বড় করেন এবং তারা যখন সেখানে আসেন তখন দক্ষিণ এশীয়র সংখ্যা ছিল না বললেই চলে।

এর আগে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন অনীতা আনন্দ। সে সময় তার দলকে তিনি বলে দিয়েছিলেন যে, সাংস্কৃতিক পরিবর্তন একটি ফাইল এবং তা যেনো তার ডেস্কের মাঝখানে পড়ে না থাকে। ২০২১ সালের ফলে ফাইলটি যখন তিনি হাতে নেন তখন বেশ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ ছিল।

- Advertisement -

Latest Posts

Don't Miss

Stay in touch

To be updated with all the latest news, offers and special announcements.