গ্রেটার টরন্টো এরিয়ার (জিটিএ) গ্যাস স্টেশনগুলোতে নতুন ডিসপেন্সার হাজির হচ্ছে। ট্যাংকে গ্যাস ভরার সময় চালককে তারা বাড়তি উইন্ডশিল্ড ওয়াশার তরলও দিচ্ছে।
ইকোট্যাংক কানাডার শন এলিয়ট বলেন, এটা সত্য যে, কিছু মানুষ এগুলোর দিকে তাকাচ্ছে এবং এর কাজ কী সে ব্যাপারে তারা নিশ্চিত হতে পারছে না।
ইকোট্যাংক বলছে, চারটি প্রদেশে বর্তমানে তারা ২৮৮ উইন্ডশিল্ড ওয়াশার ডিসপেন্সার পরিচালনা করছে।
এলিয়টের ভাষায়, আমরা নিজেরাই ডিসপেন্সারগুলো তৈরি করে গ্যাস স্টেশন, ইভি চার্জার ও কন্ডোতে স্থাপন করেছি। এর ফলে প্লাস্টিক জাগ ব্যবহার না করেই কানাডিয়ানরা এখন উইন্ডশিল্ড ওয়াশার তরল ভরতে পারছেন।
এই ডিসডেন্সার সাধারণ গ্যাস পাম্পের মতোই। চালকরা পাম্পে অর্থ পরিশোধ করে হোজ পাম্প ব্যবহার করে গাড়ির উইন্ডশিল্ড ওয়াশার রিজার্ভারে তা ভরতে পারেন। প্লাস্টিকের জাগেও ওয়াশার তরল ভরতে পারে ডিসপেন্সার।
ওয়াশার তরলের দাম চালক গ্যাস স্টেশন থেকে যে দামে কনটেইনারভর্তি তরল কিনতে পারেন সেরকমই। কানাডিয়ান টায়ার গ্যাম বারে তরলটির দাম প্রতি লিটার ১ দশমিক ৮০ ডলার। আপনি অগ্রিম অর্থ পরিশোধ করতে পারবেন। কিন্তু কেটে নেওয়া হবে যেটুকু আপনি ব্যবহার করবেনে কেবল সেটুকুর দাম।
এলিয়ট বলেন, আপনার যেটুকু দরকার কেবল সেটুকুর জন্যই আপনাকে দাম দিতে হবে। আপনার যদি তিন লিটারের দরকার হয় তাহলে পুরো এক জাগ না কিনে কেবল তিন লিটারই পাবেন।
পরিবেশবান্ধব ধারণাটি ভোক্তাদের কাছে জনপ্রিয়তা পাবে বলে আশা করছে কোম্পানিটি। এলিয়ট বলেন, যত বেশি সংখ্যক মানুষ এটা ব্যবহারের চেষ্টা করবেন এবং কীভাবে এটা কাজ করে তা দেখবেন সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তত বেশি সংখ্যক মানুষ এটা ব্যবহার করবেন।
ওরেঞ্জভিলভিত্তিক ইকোট্যাংক তাদের প্রথম ডিসডেন্সার চালু করে দুই বছর আগে। প্রযুক্তিটি প্রথম ব্যবহৃত হয় ইউরোপে। কানাডায় প্রতি বছর ৭ কোটি জাগের মতো উইন্ডশিল্ড ওয়াশার বিক্রি হয়ে থাকে।