বিপণন প্রচারণায় উপাত্ত কীভাবে ব্যবহার করবে তা পর্যালোচনা করে দেখছে কানাডা পোস্ট। খাম ও প্যাকেজের বাইরের তথ্য ব্যবহারের মধ্য দিয়ে পোস্ট অফিস আইন ভঙ্গ করেছে বলে ফেডারেল প্রাইভেসি কমিশন জানানোর পর এই উদ্যোগ নিয়েছে তারা।
প্রাইভেসি কমিশনার ফিলিপ ড্রাফ্রেন গত সপ্তাহে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলেছেন, পোস্ট অফিসের স্মার্টমেইল মার্কেটিং প্রোগ্রামের জন্য যেসব তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে ব্যক্তির বসবাসের ঠিকানা, অনলাইনে কী ধরনের কেনাকাটা তারা করেন। কারা তাদেরকে পার্সেল পাঠাচ্ছে তার ভিত্তিতে এই তথ্য সংগ্রহ করেছে পোস্ট অফিস। এরপর এই তথ্য মার্কেটিং লিস্ট তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে, যা কানাডা পোস্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে ভাড়া দিয়েছে।
কমিশনার বলেছেন, কানাডা পোস্ট পরোক্ষভাবে এ ধরনের তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কাছ থেকে কোনো অনুমতি নেয়নি, যা প্রাইভেসি অ্যাক্টের ৫ অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন। কানাডিয়ানদের কাছ থেকে অনুমতি না নেওয়া পর্যন্ত এ ধরনের চর্চা বন্ধ করার জন্য কানাডা পোস্টের প্রতি সুপারিশ করেছেন তিনি।
ডাফ্রেনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পোস্ট অফিস তার এই উপসংসহারের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছে এবং সংশোধনমূলক পদক্ষেপ গ্রহণে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
তবে ২২ সেপ্টেম্বর পোস্ট তাদের এই অবস্থান থেকে সরে এসেছে। এক বিবৃতিতে তারা বলেছে, এর ফলে জনগণের মনে যে উদ্বেগ তৈরি হতে পারে সেটা তারা বুৃঝতে পেরেছে। তাই কানাডিয়ানরা যেটা প্রত্যাশা করেন সেই মানদ- অনুসরণ করবে তারা।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কানাডিয়ানদের ব্যক্তিগত তথ্য নৈমিত্তিক ব্যবহারের আমরা বিশ^স্ত প্রতিষ্ঠান। কানাডিয়ানদের এই আস্থা ধরে রাখার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আর কিছু নেই আমাদের কাছে। প্রাইভেসি আইন মেনে চলার ব্যাপারে কানাডা পোস্ট প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সে অনুযায়ী ডেটা সার্ভিস প্রোগ্রামটি তারা পর্যালোচনা করে দেখবে।