গত বছর মাত্র কয়েক মাসে ব্লুর ওয়েস্ট ভিলেজের একটি স্পিড ক্যামেরায় ৩১বার কালি ছিটিয়ে দেওয়া হয়েছে। টরন্টোর ইস্টে একটি এলিমেন্টারি স্কুলের কাছে আরেকটি স্পিড ক্যামেরা ১৯বার ফেলে দেওয়া হয়। এর মধ্যে অন্তত তিনটি ঘটনায় স্পিড ক্যামেরাটি বেশ কিছুদিন অকার্যকর ছিল। স্কারবোরোর ক্রিক আইল্যান্ড নেবারহুডের একটি স্পিড ক্যামেরা দুর্বৃত্তরা সরিয়ে দেয়। যদিও এটির ওজন ছিল কয়েক শ পাউন্ড। এর ফলে এটি আটদিন অকার্যকর থাকে।
২০২২ সালের ১ জুন থেকে ২০২৩ সালের ৩১ মে পর্যন্ত এ ধরনের মোট ৫৫৫টি ঘটনা ঘটেছে।
নথিতে বলা হয়েছে, টরন্টো স্পিড ক্যামেরা চালুর করার তিন বছর পর থেকে ক্ষুব্ধ চালকরা ধারাবাহিকভাবে এগুলোকে তাদের লক্ষ্যে পরিণত করেছেন। এর ফলে ভিশন জিরোর আওতায় অতিরিক্ত গতি বন্ধ করা ও পথচারীদের হতাহত কমিয়ে আনার যে লক্ষ্য তা জটিল হয়ে উঠছে।
বিষাক্ত কার সংস্কৃতির বিষয়টিই এর মাধ্যমে উঠে এসেছে। এমন একদল লোক আছে, যারা গাড়ি চালায় এবং গাড়ির বাইরে থাকা কারো চাইতে তাদের সামান্য সুবিধাই তাদের কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করে।
নথির তথ্য অনুযায়ী, বিভিন্ন ঘটনায় টরন্টোর অটোমেটেড স্পিড এনফোর্সমেন্ট ক্যামেরা গত বছর মোট ২৭৯ দিন অকার্যকর ছিল। এসব ঘটনার অনেকগুলোই ছিল ছোটোখাটো। স্পিড ক্যামেরায় কালি ছিটিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে মোট ২২২বার। এর ফলে অবশ্য সেবায় খুব একটা প্রভাব পড়েনি। কিন্তু ৯৪টি ঘটনায় স্পিড ক্যামেরা অন্যত্র সরিয়ে দেওয়া হয় এবং ১৩৪টি ঘটনায় সেগুলো ফেলে দেওয়া হয়। কিছু ক্যামেরা আবার একাধিকবার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা হয়।