তীব্র ঘাড় ও পিঠের ব্যথার চিকিৎসায় ব্যবস্থাপত্রে অপিয়ড না লেখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ল্যানসেটে প্রকাশিত অস্ট্রেলিয়ার এক গবেষণায় এই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে, যাদেরকে অপিয়ড ট্যাবলেট দেওয়া হয়েছিল তারাও যাদেরকে প্লাসেবো দেওয়া হয়েছিল তাদের মতোই ছয় সপ্তাহ পর একই ধরনের ব্যথা অনুভব করেছেন।
গবেষকরা এক্ষেত্রে বিশেষ করে ঘাড় ও পিঠের ব্যথার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েছেন। কারণ, এই সমস্যাগুলো খুব বেশি দেখা যায় এবং এর চিকিৎসায় ব্যবস্থাপত্রে অপিয়ড লেখা হয়। ইউনিভার্সিটি অব সিডনির ইনস্টিটিউট অব মাস্কুলোস্কেলেটাল হেলথের অধ্যাপক ও গবেষণার জ্যেষ্ঠ লেখক ক্রিস্টিন লিন এমনটাই জানিয়েছেন।
দৈবচয়নের ভিত্তিতে গবেষণার জন্য ৩৪৭ জন অংশগ্রহণকারীকে বেছে নেওয়া হয়, ১২ সপ্তাহ বা তার কম সময় ধরে মোটামুটি মাত্রার ব্যথায় ভুগছেন। অংশ্রগণকারীদের অর্ধেক বা ১৪৭ জনকে প্রতিদিন অক্সিসোডোন-নালোক্সোন দেওয়া। অবশিষ্ট ১৭২ জনকে দেওয়া হয় প্লাসেবো। অসুস্থতার কারণে একজন অংশগ্রহণকারীকে পরীক্ষার বাইরে রাখা হয়। তবে রোগীদের অপিয়ড দেওয়া হচ্ছে নাকি প্লাসেবো তা তাদেরকে বুঝতে দেওয়া হয়নি।
উভয় গ্রুপের কিছু অংশগ্রহণকারীকে নন-অপিয়ড ওষুধ যেমন নন-স্টেরয়ডাল অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ড্রাগও দেওয়া হয়। এর মধ্যে আছে ইবুপ্রোফেন, অ্যাসপিরিন অথবা নারোক্সেন সোডিয়াম।
ছয় সপ্তাহ পর গবেষকরা ব্যথার তীব্রতা সম্পর্কে অংশগ্রহণকারীদের কাছে জানতে চান। ব্যথার তীব্রতার মাত্রাকে শূন্য থেকে ১০ পর্যন্ত স্কেলে রেটিং করা হয়। যাদের অপিয়ড দেওয়া হয়েছিল তাদের ব্যথার গড় তীব্রতা ছিল ২ দশমিক ৭৮। অন্যদিকে যাদের প্লাসেবো দেওয়া হয়েছিল তাদের ব্যথার মাত্রা ছিল গড়ে ২ দশমিক ২৫। অর্থাৎ, অপিয়ডেও ব্যথার তীব্রতার ক্ষেত্রে কোনো প্রভাব পড়েনি।