
কোয়োট নিয়ে ভয়ানক সমস্যার পরিপ্রেক্ষিতে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন পোর্ট ক্রেডিটের পোষ্যমালিকরা। আলিসা ক্রফোর্ড নামে পোর্ট ক্রেডিটের এক বাসিন্দা সিপি২৪কে বলেন, তার বড় আকারের গোল্ডেন রিট্রিভারটি গত সপ্তাহে চারটি কোয়োটের আক্রমণের শিকার হয়। পরবর্তীতে দিনেও তার বাড়িতে কোয়োট আসা বন্ধ হয়নি।
তিনি বলেন, কোয়োটগুলো তার কুকুরকে কামড় দেয়। এসব কোয়োটের কোনো ভয়-ডর নেই। আমার স্বামী ঝাড়– নিয়ে তাদের ধাওয়া করলেও তাদের ভীত মনে হয়নি। তারা সত্যিই ভয়-ডরহীন।
সামান্য একটু আচড় লাগলেও ক্রফোর্ডের কুকুরটি এ যাত্রায় রক্ষা পেয়েছে। কিন্তু ক্রফোর্ড এখন তার ছোট সন্তানকে নিয়ে ভয় পাচ্ছেন। তিনি বলেন, আমি নিজে একজন পশুপ্রেমী। কিন্তু এই কোয়োটগুলো যদি আমার কুকুরকে আক্রমণ করে তাহলে আমার মেয়ে ব্যাকইয়ার্ডে খেলতে গেলে তার কী হবে তাই নিয়ে ভয় পাচ্ছি। আমার মেয়ের ওজন ১৯ পাউন্ড। আমরা আমাদের সন্তানদের সুরক্ষা চাই। আমরা আমাদের পোষ্যদেরও সুরক্ষা চাই।
ক্রফোর্ড বলেন, আক্রমণের পর আমি অ্যানিমেল কন্ট্রোলকে খবর দিয়েছিলাম। তারা আমাকে জানিয়েছে যে, এলাকায় সমীক্ষার জন্য তারা টহলদল পাঠাবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত তার কোনো নমুনা দেখা যায়নি।
তিনি বলেন, আমি আমার নেবারহুডে কোনো অ্যানিমেল কন্ট্রোল দেখিনি। পরদিন রাতে আরও একটি আক্রমণ হয়েছে। আমি সেটাও জানিয়েছি। তারা বলেছে, কাকে নাকি তারা পাঠিয়েছে। কিন্তু আমি কাউকে দেখিনি।
স্থানীয় কোয়োটকে নিয়ে আতঙ্কে আছেন ক্রফোর্ডের প্রতিবেশী ডোমেনিক পারিসেলিও। গত ১০ মার্চ কোয়োটের আক্রমণে তার কুকুরটি মারা গেছে। ক্রেডিট রিভারের কাছে পাইনট্রি ক্রিসেন্ট ও স্টেভব্যাংক রোডের সংযোগস্থলে বাস করেন পারিসেলি। তিনি বলেন, কোয়োট আমাদের ব্যাকইয়ার্ড পেরিয়ে একেবারে দরজার গোড়ায় চলে আসছে। এরকমটা আগে কখনো দেখা যায়নি।
মিসিসোগার অ্যানিম্যাল সার্ভিসেসের ব্যবস্থাপক জে স্মিথ সিপি২৪কে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেছেন, পোর্ট ক্রেডিটে কোয়োটের উপদ্রব তুলনামূলক কম। ২০২৩ সালে কোয়োট সংক্রান্ত ২৪টি টহল সম্পন্ন হয়েছে। গত ১২ মাসে কোয়োটের কারণে একটি পোষা প্রাণীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
মিসিসোগা অ্যানিম্যাল সার্ভিসেস কোয়োট নিয়ে উদ্বেগ নিরসনে স্বপ্রণোদিত হয়ে বেশ কিছু কৌশল নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সক্রিয় মনিটরিং, নেবারহুড ও স্থানীয় কমিউনিটিকে সচেতন করা এবং টহল পরিচালনা।