বুধবার, মে ৮, ২০২৪
15 C
Toronto

Latest Posts

আমার ছড়ার জার্নি > ছোট্ট ছড়াবন্ধু মীরার কথা

- Advertisement -

এক জীবনে ছড়া লিখে যা যা পাওয়া সম্ভব তার প্রায় সবই পেয়েছি আমি। নিজেকে কখনো তাই বঞ্চিত ভাবিনি। ভাবি না। দৃশ্যমান প্রাপ্তিগুলোর বাইরে, অদৃশ্য প্রাপ্তিগুলোর তালিকাটাও বিশাল। সবচে বেশি পেয়েছি মানুষের ভালোবাসা। বয়স্ক প্রবীনদের ভালোবাসার চাইতে বেশি ভালোবাসা পেয়েছি ছোটদের কাছ থেকে। ছোটদের ভালোবাসা পাওয়াটা খুব সহজ নয়। আমরা বড়রা অনেক সময় কোনো উদ্দেশ্য হাসিল করার জন্যে বানিয়ে বানিয়েও কাউকে কাউকে ভালোবাসা দেখাই। সবচে অপছন্দের মানুষটাকেও বলি–কী যে পছন্দ করি আপনাকে!

- Advertisement -

কিন্তু ছোটরা যদি কাউকে অপছন্দ করে তাহলে প্রকাশ্যে সকলের সামনেই সেই অপছন্দের মানুষটাকে সাফ সাফ জানিয়ে দিতে পারে–আঙ্কেল তুমি পঁচা কিংবা আন্টি তুমি পঁচা। কারণ ছোটরা হচ্ছে এঞ্জেল। এঞ্জেলদের অকপট মুঠোমুঠো ভালোবাসায় জীবন আমার পরিপূর্ণ।

সারাদেশে আমার খুদে বন্ধু বা ছোট্ট বন্ধুর সংখ্যা অগুন্তি। আমার জীবনে এইসব এঞ্জেলদের প্রভাবটাও বিশাল। সামনা সামনি দেখা হওয়া ছোট্ট বন্ধুর চাইতে জীবনে একবারও দেখা না হওয়া এঞ্জেলদের সংখ্যাই বেশি। ফেসবুকের কল্যাণে মেসেঞ্জারে অচেনা অভিভাবকদের পাঠানো লেখা ছবি ও ভিডিওতে আমার প্রতি অচেনা ছোট্ট বন্ধুদের ভালোবাসার নমুনা পেয়ে যাই আমি। প্রাণিত হই প্রবলভাবে।

এঞ্জেলদের কাছ থেকে পাওয়া ভালোবাসার বিনিময়ে ছড়া ছাড়া আমি আর কীইবা দিতে পারি ওদের! সেই কারণে ছোটদের পাঠোপযোগী ছড়া আমি লিখতে থাকি ক্লান্তিহীন। স্বীকার করতে দ্বিধা নেই, ছোটদের জন্যে লিখেই সবচে বেশি আনন্দ পাই আমি।

নিকট অতীতে, আমার ছোট্ট পাঠক বন্ধুদের অনেকের কথাই লিখেছি বেশ কয়েকটি স্মৃতিগদ্যে। আজ আমি বলতে এসেছি আমার এমন এক খুদে বন্ধুর কথা যে শুধু আমার ছড়ার পাঠকই নয়, নিজেও মুখে মুখে ছড়া বানায়। খুদে এই বন্ধুটির নাম মীরা। আজ ওর জন্মদিন। মীরা আমার সবচে খুদে ছড়াবন্ধু।
একটু পেছনে তাকাই।

সেপ্টেম্বর ২০২১ সালে মেসেঞ্জারে নক করলেন তরুণ বয়েসী এক মা। আয়রে নাচি নামে একটা ইশকুল আছে তাঁর–
…”আপনার ছড়া আমার ছোট্ট মেয়েটাকে প্রতিদিন পড়ে শুনাই। তার খুব পছন্দ আপনার ছড়া। এখনো সে অনেক ছোট্ট, স্কুলে যাওয়ার মতো হয়নি। কিন্তু পড়ে শুনালে মনে রাখতে পারে। আপনি আমাদের প্রতিদিনের সাথে মিশে আছেন। আমার নাম জান্নাতুল ফেরদৌসী। আমার মেয়ের নাম মীরা আনা মাহমুদ। বিশেষ ভাবে এখন আপনাকে লেখার কারণ হচ্ছে- আমি তাকে ঘুম পাড়াচ্ছিলাম, সে কাল নিজ হাতে বিরিয়ানী খেতে চায় তার বাবার জন্মদিনে। আমি রাজি হওয়ায় আপনার “গুডবাই” ছড়া
হাঁ হাঁ হাচ্‌ চি
বিরিয়ানি খাচ্ছি.. সেটা থেকে বানালো–
বিরিয়ানি পাচ্ছি
নিজ হাতে খাচ্ছি।”
জবাবে আমি লিখলাম–বাহ্‌ ছোট্ট বন্ধু মীরার ছড়াটা তো দারুণ! আমার খুব পছন্দ হয়েছে। …একদিন সে-ও লিখবে অনেক অনেক ছড়া। আমার চাইতেও ভালো লিখবে। অনেক ভালোবাসা আর আশীর্বাদ ওর জন্যে।
মীরার মা লিখলেন–

”সেদিন আপনার রিপ্লাই পেয়ে এতটাই খুশী হয়ে গিয়েছিলাম যে মীরা, আব্বু, আম্মি আর হাসব্যান্ডকে পড়ে শুনাচ্ছিলাম। তাই তাড়াহুড়ায় আপনাকে শুধু thanks লিখে পরে নিজের খুব খারাপ লাগছিল। আপনাকে আসলে অনেক ধন্যবাদ। প্রতিদিনই আরো অনেক ছড়া,গল্পের সাথে আপনার ছড়া আমাদের প্রতিদিনের সঙ্গী। ভালো থাকবেন। অনেক সময় ছোটদের বই এ আপনার ছড়া খুব মজা নিয়ে পড়েছি কিন্তু আপনার নাম ছিল না। পরে আপনার বইয়ে সে ছড়া দেখে মনে হয়েছে আরে এজন্যই তো এতো সুন্দর! আমি চাই আমাদের মত ছড়াগুলো আরো সবাই পড়ুক। আজকাল কিন্তু পড়ার বই এর বাইরে কেউ তেমন পড়তে চায় না। মজাটা একবার যদি ধরতে পারে তবে চলতেই থাকবে। আমি আমার ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে ক্ষুদ্র পরিসরে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।”
দিন যায়।

মীরার মা লিখলেন–”আপনাকে না পাঠিয়ে পারলাম না। মীরা বর্ষার ছড়া লিখছে(!) আর বলছে আমি লুৎফর রহমান লিটনের (রিটন বলে না, আমিও এখনো ঠিক করে দেইনি) মত সারাদিন ছড়া লিখি।
…সারাদিন লেখার ব্যাপারটা তো আমরা তাকে বলিনি কিন্তু সে কিভাবে ফিল করতে পারলো তা ভেবে আমি অবাক।
জবাবে আমি লিখলাম–”আরে কী দারুণ একটা খবর! আমি তো মহা বিস্মিত। অনেক অনেক আদর মীরা নামের ছোট্ট বন্ধুটিকে। আমি যে সারাদিন ছড়া লিখি সেটা এই সুন্দর মিষ্টি মেয়েটা জানলো কেমন করে?”
১৮ জুন ২০২২ সালে মীরার মা লিখলেন–

…”আমার মেয়ে জানতে চেয়েছিল আপনার কী ওর মত ছোট একটা মেয়ে আছে? আমি না বলাতে সে কষ্ট পেয়েছিল আমি সাথে সাথে বলেছি। উনার মেয়ে আছে তোমার মতো না আমার মতো, সেও একদিন তোমার মতো ছোট্ট ছিল। এ কথা শুনে খুশি হয়ে গেছে।

গেলো অক্টোবরে তিনি জানালেন–আপনার ছোট্ট ছড়া বন্ধু মীরা নালন্দায় ( ছায়ানটের) সিলেক্টেড হয়েছে। আজ ফোন এসেছে। আমরা চাই সে আনন্দের সাথে পড়ুক। এই স্কুলকেই বেস্ট মনে হয়েছে আমাদের। তাকে এই আনন্দের খবর দেয়ার জন্য আমি বাইরে থেকে ফুল, মালা, কেক, চকলেট, বেলুন এগুলো কিনে এনেছিলাম। সে সেগুলো দিয়ে সেজেগুজে তার নিজের বিয়ে দিল এবং ছড়া বানালো-
“আজ হলো তার বিয়ে
তাক ধিনা ধিন ধিয়ে”।
আমার পাগলীটার জন্য দোয়া করবেন।
…এটা হবে তার প্রথম স্কুল, জানুয়ারি থেকে শুরু হবে।

আমি লিখলাম–”বাহ কী যে খুশি হলাম আমার ছোট্ট ছড়াবন্ধুর ছড়া-কীর্তি আর প্রথম স্কুলে যাবার কথা জেনে!
বাংলাদেশের সেরা স্কুল নালন্দা। অনেক আদর অনেক ভালোবাসা আর অনেক অনেক শুভ কামনা মীরার জন্যে।”
মীরার লেখা একটা লাইন আমার মাথার ভেতরে ঘুরপাক খেতে থাকলো দীর্ঘ সময়ব্যাপি। এই যে সে লিখেছে ‘তাক ধিনা ধিন ধিয়ে’ এটাই আমাকে এতো আনন্দিত করলো যে সারাটা দিন পঙ্‌ক্তিটা আমাকে দোলায়িত করে রাখলো। এমন একটা লাইন তো লিখবার কথা আমার! কারণ আমি ছড়া লিখছি টানা প্রায় পঞ্চাশ বছর ধরে। আর এই পিচ্চি মেয়েটা শুরু করেছে মাত্র। আজ হলো তার বিয়ে-র সঙ্গে মেলাতে গিয়ে এই যে বাচ্চাটা তাক ধিনা ধিন ধিয়ে লিখলো, আপাত অর্থহীন এই ‘ধিয়ে’ শব্দটা লিখতে পারাটা চাট্টিখানি কথা নয় কিন্তু!
ছোট্ট বন্ধু মীরার মায়ের দাবি–”আপনি যে তার গুরু। আমার তো মনে হয় সে আপনার ছড়ার লাইন থেকে নিয়ে নিয়েই গান আর ছড়া বানায়।”

সম্প্রতি ওর মা লিখলেন–‘মীরার সাথে জন্মের পর থেকেই আমি প্রচুর কথা বলি এবং গান,কবিতা, গল্প, ছড়া শুনাই, নাচ দেখাই। সে আমার প্রতিটি কথা/ শব্দ মগজে গেঁথে ফেলে।
…”আপনার ছোটদের ছোট ছোট ছড়া বইটা এত সুন্দর হয়েছে। একটা ফড়িং ছড়াটা অন্য বই এ ছিল, আমরা এটা মজা করে অভিনয় করি সব সময়। এত ভারী বইটা লম্বু ঠিকই শক্ত করে ধরেছে আমার ছবির জন্য।
জবাবে আমি বলেছি–”ছোটদের ছোট ছোট ছড়া বইটা আমি করেছি উপহারের বই হিশেবে। জন্মদিনে কিংবা উৎসবে বাচ্চাদের গিফট আইটেম হিশেবে।
…বাচ্চারা এই বইটা পেলেই খুশি হয়ে ওঠে। ২০২০ সালের বইমেলায় পুরো মাস আমি ঝিঙেফুল স্টলে প্রতিদিন বসেছি। কতো কতো বাবা-মা যে ওদের বাচ্চাকে নিয়ে এসেছে প্রতিদিন!
…আমার ভালো লাগতো বাচ্চাদের হাসিমুখ। ওরা বইটি সহ আমার সঙ্গে ছবি তুলতে চাইতো।
আমার প্রকাশকও খুব আনন্দিত ছিলেন সেবার। সেবার পত্রিকা আর টিভির কল্যাণে অভিভাবকরা জেনেছিলেন আমি ওই স্টলে বসি।”

তিনি লিখলেন–”আপনার বিড়ালের নাম তার জানা।”।

…আমাদের স্কুলের বাচ্চাদের আপনার তিনটি বই (ফেল্টুস চড় খাবি, দাবায়া রাখতে পারবা না এবং ছোটদের ছোট ছোট ছড়া)
আমি উপহার দিলাম এবারের বইমেলা উপলক্ষ্যে। সবাইকে দেয়ার সামর্থ্য নাই কিন্তু সবাইকে না দিয়ে স্কুল লাইব্রেরিতে রেখে সবাই মিলে নিয়ে নিয়ে পড়তে বলেছি বিশেষ যে কারণে তা হলো যেন সত্যিকার অর্থে পড়াটা হয়। আমার খুব ভালো লেগেছে শিশুদের পরিচালক যিনি অবশ্য আমার বাবা তিনি নিজে না যেতে পারায় বইমেলা থেকে যখন বই কিনতে পাঠিয়েছিলেন একজন স্টাফকে তখন শুনতে পেয়েছিলাম বলছিলেন – লুৎফর রহমান রিটনের বই এবং আরো ভালো যা পারো তা এনো। খুব খুশি লেগেছে যে “ছোটদের ছোট ছোট ছড়া” এই বইটা আমার দেয়াটা সহ দুইটা হল। বাচ্চারা বেশি বেশি পড়তে পারবে। এবং সত্যিই আজ দুপুরটা তারা ছড়া পড়ে কাটিয়েছে। এক কিউট বাচ্চা পেছনের বেঞ্চ থেকে হাত তুলে কিছু একটা আমাকে বলতে চাইছিল । জানতে চাইলে বললো আপু আমি বইটা ধরে দেখতে চাই। কী যে ভালো লেগেছিল! বললাম অবশ্যই অবশ্যই ধর। আমাদের স্কুলের বই এর শেলফগুলো ওপেন থাকে যেন ওরা যখন তখন ইচ্ছামত নিয়ে পড়তে পারে।
আমি লিখলাম–‘আহা আনন্দে চোখ ঝলমল করে উঠলো বিশেষ করে ওই যে বাচ্চাটা বললো না –বইটা ধরে দেখতে চাই…..!’
তিনি লিখলেন–”এরা কিন্তু সুবিধাবঞ্চিত শিশু। MBA শেষ করার পর স্বাধীনচেতা আমি ব্যাংক জব ছেড়ে, বিজনেস ম্যাগনেট হওয়ার স্বপ্ন লালন করতে করতে কবে যে স্বপ্নটা ভুল হয়ে গেছি মানে এই আলসে আমাকে দিয়ে সত্যিকারের বিজনেস সম্ভব না ( আর ম্যাগনেট!) এই বাচ্চাদের উপরের ক্লাস কে আমি পড়াই বেতনের বিনিময়ে কিন্তু নানা কিছু করি মনের আনন্দে। এদের ভালোবাসায় এমন ভাবে আটকে গেছি যে নানা প্রতিকূলতায়ও ছাড়তে পারি না।
…এখানে যারা আমার কাছে নাচ করে এই বাচ্চাদের নাচ দেখলে আপনি কখনো বুঝতে পারবেন না যে এরা সুবিধবঞ্চিত। এত ভালো লাগে আমার।
আমি বললাম–”পরের বার ঢাকা গেলে আমি আসবো আপনার বাচ্চাদের দেখতে, আমার ছড়াবন্ধু মীরাকে দেখতে। বাড়তি পাওনা হবে আপনার বাবা এবং আপনার সঙ্গে দেখা হওয়া।
…আপনার মতো মানুষ অনেক বেশি বেশি থাকলে আমাদের দেশটা আরও সুন্দর হতো।’
অতিসম্প্রতি আমার আর শার্লির বিয়ে বার্ষিকীর দিনে তিনি লিখেছিলেন–”প্রথমেই জানাচ্ছি আপনাদেরকে অনেক অনেক

ভালোবাসা। পুরো পরিবারকে আজকের এই আনন্দময় দিনটির শুভেচ্ছা। Happy anniversary!
আজ একটা ঘটনা ঘটেছে। আপনার বন্ধুকে স্কুলে যাওয়ার সময় না খাওয়ার জন্য অনেক বেশি বকা দিয়েছি। ওর সাথে রাগ করে এবং আমার খুব কান্না পাচ্ছিল যেটা সবাইকে দেখাতে চাচ্ছিলাম না তাই স্কুলে অপেক্ষা না করে বাসায় চলে এসেছিলাম সেই ধানমন্ডি থেকে মালিবাগ। আবার এক ঘন্টা পরই রওনা হয়েছি আনতে। আমার একটা মোটামুটি পার্মানেন্ট রিক্সা আছে। তাই আমি ভাবলাম এত সব খারাপ ঘটনা হলো এক কাজ করি যাওয়ার সময় রিক্সায় বই পড়তে পড়তে যাই। ছোট বই আপনার “আমার স্কুল” সাথে করে নিয়ে নিলাম। ঝাকিতে পড়তে অনেক সমস্যা হলেও জ্যামে বেশ ভালোই লাগছি। রিক্সায় বই পড়াটা তো আসলে সাধারণত অসম্ভব ব্যাপার। যাই হোক আসল ব্যাপার যেটা বইটা পড়তে পড়তে আমার মনে হচ্ছিল আপনি বোধহয় খুব মন খারাপ করবেন আপনার বন্ধুর উপর রাগ করার জন্য। কেন যেন মনে হচ্ছিল আপনিও বুঝে যাচ্ছেন আমি খুব খারাপ কাজ করেছি। আমার মত পাগল মানুষের অদ্ভুত ভাবনা, অদ্ভুত চিন্তা এই আর কী। তবে আসার পথে তাকে অনেক অনেক করে আদর করেছি।

আমি বলেছিলাম–‘আপনি খুব ভালো একজন মা।’
মীরার মা লিখলেন–”আচ্ছা,আপনাকে আমি কী ডাকবো? আসলে আগে বলেন মীরা আপনাকে কী ডাকলে ভালো হয়? আপনি একটা ইনস্টিটিউট। কাজে তো আসলে সব সময় নাম ধরেই বলা হয়। আমার বরসহ একটা ছবি দিচ্ছি। সে আপনার লিখার অনেক ফ্যান। আসলে ও-ই কিন্তু আমাকে সকল বই দিয়েছে আপনার। …মীরার বাবা নভেম্বরে নিউজিল্যান্ড গেছে ইউনিভার্সিটি অফ অকলান্ড এ PhD করতে। ছবি দেখে বুঝে বলেন আপনাকে কী ডাকবো আমি, মীরা। পরে বললেও চলবে। আসলে কোন কমেন্টে একবার শার্লি আন্টি, একবার ভাবী বলি তো তাই। উনার সাথে সাদাকালো ছবিটা এত এত ভালো লেগেছে আমার। সম্বোধন করতে না পারায় কিছু লিখতে পারিনি।”
আমার উত্তর ছিলো–‘সম্বোধন বিষয়ে আমার কোনো প্রেজুডিস নেই। একটা কিছু ডাকলেই হলো।’
সেদিন মীরা মা লিখলেন–

”আপনাকে আপনার ছড়ার কপিরাইট নিয়ে আপনার বন্ধুর সাথে লড়তে হবে একদিন। আমার করার কিছুই নাই।
…আমার আম্মি মানে আমার মা বলে আপনাকে নাকি তার এমন মনে হয় যে আপনাকে কোথাও দেখলে সে অবশ্যই আপনার সাথে কথা বলত নিজের থেকে, কারণ আপনি অবশ্যই সেরকম যে আপনি কথা বলবেন। আমার মা কিন্তু কথা বলা টাইপ না। আসলে আমরা সবাই আপনাকে অনেক ভালোবাসি।”

একটা পরিবারের সবচে খুদে সদস্যের ভালোবাসা পাওয়া, সেই পরিবারের সবচে প্রবীন সদস্যেরও ভালোবাসা পাওয়া, এক কথায় পুরো একটি পরিবারের সবার ভালোবাসা পাওয়া এক জীবনে সত্যি সত্যি অনন্য প্রাপ্তি।
মীরার মা বাবা এবং নানা নানির প্রতি অসীম কৃতজ্ঞতা। আপনাদের কারণেই ছোট্ট বন্ধুদের কাছে কতো অনায়াসে পৌঁছে যাই আমি!
মীরা এবং ওর মতো ছোট্ট বন্ধুদের জন্যে অনেক অনেক আদর।
অটোয়া ০৮ এপ্রিল ২০২৩

- Advertisement -

Latest Posts

Don't Miss

Stay in touch

To be updated with all the latest news, offers and special announcements.