ইউনিভার্সিটি ডি মঙ্কটনের অর্ধেকের কিছু কম শিক্ষার্থী ও কর্মী একবার হলেও যৌন সহিংসতা, হেনস্থা ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। বিশ^বিদ্যালয়ের পাঁচজন গবেষকের নতুন এক গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে।
গবেষণার সহলেখক ও মনোবিজ্ঞানের অধ্যাপক সিলভি মরিন এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ক্যাম্পাসে যে কিছু যৌন সহিংসতার ঘটনা ঘটে সে ব্যাপারে আমরা জানি। তারপরও এ সমস্যার একটি পরিস্কার ছবি পেতে চেয়েছিলাম আমরা। তিনি ও তার সহলেখকরা অনলাইনে গবেষণাটি করেন।
ক্যাম্পাসে যারা যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তাদের ৮৬ শতাংশই বিষয়টি বিশ^বিদ্যালয়কে জানাননি। বিশ^বিদ্যালয়ের একজন মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেন, ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষে সেক্সুয়াল ভায়োলেন্স পলিসি সংক্রান্ত পাঁচটি অভিযোগ ওম্বুড অফিসে দাখিল করা হয়েছে। যৌন পরিস্থিতি সংক্রান্ত প্রতিবেদন নথিভুক্ত করা হয়েছে চারটি।
মরিন বলেন, জটিল এই সমস্যা সমাধানের সহজ কোনো উপায় নেই। বিশ^বিদ্যালয়ের যৌন নির্যাতন সংক্রান্ত বিদ্যমান নীতির পরিবর্তন দেখতে চান তিনি। ২০১৭ সালে এটি চালু করা হয়। নীতিতে বেশ কিছু সমস্যা রয়েছে। তদন্তের জন্য আনুষ্ঠানিক আবেদনের অনুপস্থিতি এর মধ্যে অন্যতম।
তিন বছর ধরে যৌন নির্যাতন সংক্রান্ত নতুন একটি নীতি কার্যকর আছে। ফেকামের প্রেসিডেন্ট জঁ-সেবাস্তিয়েন লেগার শুক্রবার বলেন, আমাদের কাছে অনেক অভিযোগ আসছে। সে হিসেবে তিন বছর অনেক লম্বা সময়। ক্যাম্পাসের এই সমস্যাটি নিয়ে আমরা গবেষণা অব্যাহত রেখেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট ও ভাইস চ্যান্সেলর ডেনিস প্রুড হোমে এক লিখিত বিবৃতিতে বলেন, সমাজের সব ক্ষেত্রেই এ ধরনের সহিংসতা কম আলোচিত বিষয়। দুর্ভাগ্যবশত বিশ^বিদ্যালয়ও এর বাইরে নয়। বিশ^বিদ্যালয়ের কমিউনিটির কাছ থেকে অভিযোগ গ্রহণের জন্য প্রত্যেক ক্যাম্পাসেই হস্তক্ষেপকারী রয়েছেন।
বর্তমানে সব অ্যকাডেমিক ও প্রশাসসনিক কর্মকর্তার জন্য ছয় ঘণ্টা যৌন নির্যাতন সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ নেওয়া বাধ্যতামূলক। সেই সঙ্গে কর্মক্ষেত্রে সম্মান প্রদর্শন সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ গ্রহণও বাধ্যতামূলক।