ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে উপস্থিতি জোরদারে ফেডারেল সরকারের কৌশলের অংশ হিসেবে হ্যালিফ্যাক্স ত্যাগ করেছে রয়্যাল কানাডিয়ান নেভির ফ্রিগেট এইচএমসিএস মন্ট্রিয়ল। আগামী ১২ মাসের জন্য যে তিনটি ফ্রিগেট এই অঞ্চলে মোতায়েন করা হচ্ছে এইচএমসিএস হচ্ছে তার প্রথমটি। ফ্রিগেটটিকে সহায়তা দেবে নেভি সাপ্লাই ভেসেল অ্যাস্টারিক।
এই অঞ্চলে বিশেষ করে ভারত মহাসাগরে কানাডার উপস্থিতি জোরদারে বৃহত্তর কৌশলের অংশ হিসেবে দুটির পরিবর্তে তিনটি ফ্রিগেট মোতায়েনের কথা বলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী অনীতা আনান্দ। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মোতায়েনকালে জাহাজটি ও এর অন-বোর্ড সাইক্লোন হেলিকপ্টার সামরিক মহড়ার সময়ে মিত্রদের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করবে।
আনান্দ বলেন, উত্তর কোরিয়ার ওপর জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের আরোপিত নিষেধাজ্ঞা নজরদারির ব্যাপারে আন্তর্জাতিক যে উদ্যোগ তাতে কানাডার অবদানেরও অংশ এই ফ্রিগেট মোতায়েন।
মানববিধ্বংসী অস্ত্র পরিত্যাগে উত্তর কোরিয়াকে বাধ্য করতেই এই নিষেধাজ্ঞা। হ্যালিফ্যাক্স-ক্লাস ফ্রিগেট সাবমেরিনবিরোধী ও স্থলবিরোধী যুদ্ধে ব্যবহৃত অস্ত্র, সেন্সর বহন করে থাকে। পাকিস্তান থেকে শুরু করে জাপানের মতো দেশগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলতে ২৩০ কোটি ডলার বরাদ্দের কথা গত হেমন্তে ঘোষণা করে অটোয়া। এর মধ্যে ৫০ লাখ ডলার বরাদ্দ রাখা হয়েছে এই এলাকায় তৃতীয় ফ্রিগেট মোতায়েন বাবদ। এই অর্থ সাইবার নিরাপত্তা ও মিত্রদের সঙ্গে সামরিক প্রশিক্ষণেও ব্যয় হবে।
আনান্দ বলেন, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ফিলিপিন্স, ভিয়েতনাম ও সিঙ্গাপুরের সঙ্গে কাজ করার অর্থ হলো এই অঞ্চলে নৌবাহিনীর উপস্থিতির চেয়েও বেশি কিছু। কারণ, এসব দেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদারের উপায় খুঁজছে কানাডা। যদিও ইন্দো-প্যাসিফিক পরিকল্পনায় ফরেন এজেন্টদের রেজিস্ট্রির বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। কানাডাকে এ ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়াকে অনুসরণের দাবি জানিয়ে আসছেন বিশেষজ্ঞদের অনেকে।
লিবারেলরা ২০১৫ সালে প্রথমবারের মতো এই কৌশলের প্রতিশ্রুতি দেয় এবং ২০২০ সালে তা প্রকাশের পরিকল্পনা করে।