কানাডায় যেসব আশ্রয়প্রার্থী নতুন জীবনের স্বপ্ন দেখছিলেন তা অন্ধকারে ঢেকে গেছে। কারণ, কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার সীমান্ত আর আশ্রয়প্রার্থীদের নিরাপদ প্রবেশপথ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
সেফ থার্ড কান্ট্রি এগ্রিমেন্ট নামে পরিচিত চুক্তিটি সম্প্রসারিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রবেশপথে কেউ নিজেদের শরনার্থী দাবি করলে তা বৈধ হবে না বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এই সীমান্ত দিয়ে এর আগে হাজার হাজার আশ্রয়প্রার্থী কানাডায় প্রবেশে সক্ষম হয়েছেন।
মুখে একরাশ অবিশ^াস নিয়ে কলম্বিয়ার এক নাগরিক বলেন, দারুণ। তার নাম প্রকাশ না করে বলেন, তিনি তার স্ত্রী ও ছোট সন্তানকে নিয়ে ভ্রমণ করছেন। এর কয়েক মিনিট পর তিনি কানাডিয়ান প্রেসের কাছে গিয়ে জানতে চান রক্সহাম রোড সত্যিই বন্ধ কিনা।
শুক্রবার পর্যন্তও শরনার্থীদের রক্সহাম রোডে নেওয়ার জন্য বাস স্টপে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়েছিল অনেক ট্যাক্সি। শনিবার সেখানে মাত্র একটি ট্যাক্সি দেখা যায়। নাম প্রকাশ না করতে চাওয়া ওই ট্যাক্সির চালক কলম্বিয়ার দু্িট পরিবারকে বহন করেছ। গন্তব্যে পৌঁছানোর পর যাত্রীরা যে গ্রেপ্তার হতে পারেন সেটা জিজ্ঞেস করা হলে এড়িয়ে যান তিনি।
মন্ট্রিয়লভিত্তিক দ্য রিফিউজি সেন্টারের নির্বাহী পরিচালক আবদুল্লা দাউদ বলেন, আশ্রয়প্রার্থীদের কানাডায় প্রবেশের জন্য নিরাপদ পথে না উঠতে না দেওয়ার অর্থ হচ্ছে খারাপ উদ্দেশ্য নিয়ে আছে এমন ব্যক্তিদের সুবিধা করে দেওয়া। অতীতে এ ধরনের সিদ্ধান্ত বহু মানবপাচার চক্র গড়ে উঠতে সহায়তা করেছে। কিন্তু কানাডা কখনোই সেটা নিয়ে খুব একটা কাজ করেনি। কিন্তু এখন এ সংখ্যাটি বেড়ে যাবে বলে আমাদের মনে হচ্ছে। কারণ, এইসব ব্যক্তিরা দৃশ্যের বাইরে চলে যাচ্ছে না।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের অটোয়া সফরের সময় গত শুক্রবার নতুন এই নিয়ম ঘোষণা করা হয়।