
অন্টারিও প্লেসে বেসরকারি স্পা চালুর ব্যাপারে প্রাদেশিক সরকারের পরিকল্পনা নিয়ে ক্ষোভ ও উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। বিরোধীরা চাইছেন ১৫৫ একরের ওয়াটারফ্রন্ট সাইটটি জনগণের জণ্য উন্মুক্ত থাক এবং সবাই যাতে এখঅনে প্রবেশ করতে পারে।
তৃণমূল পর্যায়ের একটি কমিউনিটি গ্রুপ অন্টারিও প্লেস ফর অল গত মাসে অস্ট্রিয়ান প্রতিষ্ঠান থার্মে গ্রুপের সঙ্গে টরন্টো ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভালের (টিফ) অংশীদারিত্ব পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়ে খোলা চিঠি লিখেছে। থার্মে গ্রুপকে অন্টারিও প্লেসে স্পা এবং ওয়েস্ট ল্যান্ডে ওয়াটারপার্ক নির্মাণের জন্য নির্বাচিত করেছে প্রদেশ। তিন পৃষ্ঠার চিঠিতে টিফকে তাদের বিবৃতির সঙ্গে থাকতে এবং সে অনুযায়ী কাজ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, বেসরকারি স্পা গণসম্পদ নয়। অন্টারিও প্লেস তৈরি হয়েছে সবাই যাতে তাদের গল্প ও অন্টারিওর ভবিষ্যৎ উদযাপন করতে পারে সে লক্ষ্যে। কানাডার সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য তুলে ধরার দায়িত্ব নেওয়া টিফের বিশেষভাবে এই বয়ান হারিয়ে যাওয়া নিয়ে নিশ্চিতভাবেই উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত।
অন্টারিও প্লেসের ভবিষ্যৎ নিয়ে যে শক্তিশালী বিতর্ক চলছে তাকে সাধুবাদ জানিয়েছে টিফ। তবে অবস্থান বদলানো হবে কিনা সে ব্যাপারে ইচ্ছার ইঙ্গিত এখন পর্যন্ত দেয়নি তারা।
এক বিবৃতিতে টিফের মুখপাত্র আলেজান্দ্রা সোসা বলেন, অন্টারিও প্লেসের চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর সমৃদ্ধ ইতিহাস রয়েছে এবং আমাদের হৃদয়ের এর জায়গা বিশেষ। আমাদের কমিউনিটির কথাগুলো আমরা খুব মনোযোগ দিয়ে শুনছি।
থার্মে কানাডার কমিউনিকেশন ও এক্সটার্নাল রিলেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে বলেছেন, কোম্পানি বিশ^ব্যাপী স্থানীয় শিল্প-সংস্কৃতির প্রতি সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে তা তুলেও ধরছে। আরও বেশি মানবিক ও বাসযোগ্য নগর গড়ার ক্ষেত্রে শিল্প ও চলচ্চিত্রের ভূমিকা তুলে ধরতে বিশ^মানের সংস্থা টিফের সঙ্গে অংশীদারিত্ব করতে পেরে আমরা গর্বিত।
অন্টারিও প্লেসে থার্মে স্পা তৈরির ব্যাপারে ফোর্ড সরকারের পরিকল্পনার ব্যাপারে উদ্বেগ জানাতে গত শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন এনডিপির এমপিপি ক্রিস গ্লোভার এবং ক্রিস্টিন অং-ট্যাম। ট্যাম তার বক্তৃতায় বলেন, কোম্পানি বড় আকারের স্থাপনা গড়ে তোলার পরিকল্পনা করছে। এর ফলে ওয়াটারফ্রন্টের প্রায় চার একর দখল হয়ে যাবে।
গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে গ্লোভার বলেন, প্রদেশ দ্রুততার সঙ্গে এটা করছে এবং কোনো নিয়নম-কানুন মানছে না। তারা পরিবেশগত মূল্যায়নের তোয়াক্কা করছে না।
সিপি২৪ এ ব্যাপারে বক্তব্য জানতে প্রাদেশিক সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও কোনো ধরনের সাড়া মেলেনি। স্থানীয় কাউান্সলির আসমা মালিকের সঙ্গেও যোগাযোগের চেষ্টা করেছিল সিপি২৪। যদিও তার কাছ থেকেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।