
কোভিড-১৯ মহামারির কারণে সৃষ্ট ব্যাঘাত, কানাডাজুড়ে পাইলট সংকট এবং নতুন নীতিমালা উত্তরে কার্যক্রম পরিচালনাকারী এয়ারলাইন্সগুলোর জন্য বিপত্তি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখানকার অনেক বাসিন্দা যাতায়াত ও পণ্য পরিবহনের জন্য ফ্লাইটের ওপর খুব বেশি নির্ভরশীল।
কোভিডের কারণে অনেকেই এ বাজারের বাইরে চলে গেছেন। পাইলট হওয়া আর আগের মতো অতটা আকর্ষণীয় নয়। অবসাদ সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে আনার জন্য যে নীতিমালা তা ক্রু সদস্যদের সময় কমিয়ে দিচ্ছে। এর অর্থ হচ্ছে এয়ারলাইন্সগুলোর বেশি সংখ্যক ক্রু প্রয়োজন। সেই সঙ্গে এর ফলে প্রয়োজনীয় অভিজ্ঞতা অর্জনে সময় বেশি লাগছে। কানাডিয়ান নর্থ ২০২২ সালে পাইলট প্রশিক্ষণে কোভিড-পূর্ববর্তী সময়ের তুলনায় পাঁচগুন বেশি সময় ব্যয় করেছে। নতুন এসব নীতিমালার কারণে বাজারের চাহিদা পূরণ করা আমাদের জন্য বেশ চ্যালেঞ্জিং। বছরের সিংহভাগ সময়ে নর্থে মানুষের যাতায়াত ও পণ্য-নেওয়ার একমাত্র মাধ্যম থাকে আকাশপথ। সুতরাং, উত্তরের মানুষের টিকে থাকার জন্য আমাদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এয়ারলাইনকে কোনো গন্তব্যের ফ্লাইট বাতিল করতে হয়নি অথবা ফ্লাইটের সংখ্যা লক্ষণীয়ভাবে কমানোরও প্রয়োজন পড়েনি। কিন্তু দায়িত্বকাল কমানো হয়েছে।
মহামারি সংক্রান্ত বিধিনিষেধ প্রত্যাহারের পর ভ্রমণের চাহিদা ব্যাপক বেড়ে যাওয়ার ফলে প্রধান প্রধান এয়ারলাইন্সগুলো কানাডাজুড়ে ফ্লাইটের সংখ্যা কমিয়েছে। নর্থও এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত। ফ্লাইটের সংখ্যা কমানোর অন্যতম কারণ কর্মী সংকট।
এয়ার কানাডা ইয়েলোনাইফ হয়ে এডমন্টন ও ক্যালগেরির ফ্লাইট গত বছর স্থগিত করে। তবে আগামী মে মাসে এডমন্টনের ফ্লাইট শুরু হবে বলে জানিয়েছে এয়ারলাইন্সটি। কানাডিয়ান নর্থ ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ইয়েলোনাইফ এবং ক্যালগেরির মধ্যে বিরতিহীন ফ্লাইট পরিচালনা করে আসছে।