
কোভিড-১৯ স্মৃতি থেকে মুছে গেলেও জনস্বাস্থ্যের প্রস্তুতিতে ঘাটতি তৈরি হতে দেওয়া ঠিক হবে না অন্টারিওর। কারণ, পরবর্তী মহামারি আসবে কিনা প্রশ্নটা সেটা নয়। প্রশ্নটি হচ্ছে কখন আসবে? বার্ষিক প্রতিবেদনে এমনটাই উল্লেখ করেছেন অন্টারিও জনস্বাস্থ্য বিভাগের চিফ মেডিকেল অফিসার ডা. কিয়েরান মুর।
গত মঙ্গলবার প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয় এবং মহামারি শুরু হওয়ার পর তার কার্যালয় থেকে প্রকাশ করা এটাই এ ধরনের প্রথম প্রতিবেদন। প্রতিবেদনে ডা. মুর অন্টারিওর জনস্বাস্থ্য প্রস্তুতিতে বিনিয়োগ অব্যাহত রাখার ওপর জোর দিয়েছেন। এর মধ্যে আছে কর্মীবাহিনী, টেস্টিং, সার্ভিল্যান্স এবং আর্থ-সামাজিক অন্যায্যতা দূরীকরণ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রস্তুতির ব্যাপারে কোভিড-১৯ আমাদের যে কঠোর শিক্ষা দিয়েছে তা ভুলে যাওয়া অসম্ভব। কিন্তু ইতিহাস সব সময়ই অন্য কথা বলে। স্মৃতি ঝাপসা হয়ে যায়, জীবনযাত্রা চলতে থাকে এবং ভবিষ্যৎ হুমকির তত্ত্ব নিয়ে সমাজ আত্মতুষ্টিতে ভোগে। কিন্তু ভবিষ্যতে রোগের হুমকি মোটেই তত্ত্ব কথা নয়। নতুন প্যাথোজেনের আবির্ভাব এবং পুরনোগুলোর ফিরে আসার অর্থই হলো আমরা এমন এক সময়ের মধ্যে বাস করছি যেখানে অব্যাহতভাবে সতর্কতার বিকল্প নেই।
আরেকটি মহামারির কথা জনগণ হয়তো শুনতে চাইবে না। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে এটা শোনা জরুরি। এক সাক্ষাৎকারে ডা. মুর বলেন, ২০০৪ সালের সার্স-১ বিশেষজ্ঞ প্যানেলে আমি ছিলাম। সেই সময় আমি অন্টারিও জনস্বাস্থ্যকে দ্রুত সাড়া দিতে সক্ষম অবস্থায় তৈরি করতে আগ্রহের বিষয়টি আমি দেখেছি। কিন্তু এরপর দ্রুত অর্থাৎ দুই থেকে তিন বছরের মধ্যেই সেই আগ্রহে ভাটা পড়ে। ২০০৯ সালে যখন এইচ১এন১ দেখা দেয় সে সময়ও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে। আমি আমাদের প্রস্তুতিতে কোনো কমতি দেখতে চাই না। প্রদেশ হিসেবে আমরা যা অর্জন করেছি তা ধরে রাখতে চাই, যাতে করে আমরা কোনো সংক্রামক রোগের হুমকি বা মহামারির অনাকাক্সিক্ষত ও নেতিবাচক প্রভাব কমানোর চেষ্টা করতে পারি।
ডা. মুর বলেন, আমি প্রদেশের মহামারি প্রস্তুতি নিয়ে আলাদা একটি বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশের পরিকল্পনা করছি। অক্টোবরে এর কাজ শুরু হতে পারে।