
বিশিষ্ট লেখক, গবেষক, সংগঠক ও টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব সুব্রত কুমার দাসের ৫৯তম জন্মবার্ষিকী ছিল গত ৪ মার্চ। ওইদিন টরন্টোর ডজ রোডে অবস্থিত কানাডিয়ান লিজিয়ন হলে এনআরবি টেলিভিশন এবং বাংলা মেইল পত্রিকা আয়োজিত সুব্রত কুমার দাসের ২৯তম গ্রন্থ “উৎস থেকে পরবাস”-এর প্রকাশনা অনুষ্ঠানে লেখকের বন্ধু, শুভানুধ্যায়ী এবং প্রিয়জনেরা লেখককে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান।
উল্লেখ করা যেতে পারে যে, সুব্রত কুমার দাস এ পর্যন্ত মোট ২৯টি গ্রন্থ রচনা, সম্পাদনা এবং অনুবাদ করেছেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নিয়ে তাঁর রয়েছে চারটি গ্রন্থ। এছাড়াও কাজী নজরুল ইসলামকে নিয়ে পাঁচটি গ্রন্থ রচনা ও অনুবাদ করেছেন তিনি। লেখকের গবেষণার মূল ক্ষেত্র বাংলাদেশের উপন্যাস। উল্লেখ করা যেতে পারে যে, বাংলাদেশের উপন্যাস নিয়ে ২০০৩ সালে তিনিই প্রথম ওয়েবসাইট নির্মাণের উদ্যোগ নেন। ৫০০০ বছর প্রাচীন মহাকাব্য মহাভারত এবং ঐতিহাসিক বাঙালি ব্যক্তিত্ব শ্রীচৈতন্যদেব নিয়েও গ্রন্থ রচনা করেছেন তিনি।
সুব্রত কুমার দাস হচ্ছেন সেই বাঙালি লেখক যে ২০২০ সালে টরন্টো ইন্টারন্যাশনাল ফেস্টিভ্যাল অব অথরস (টিফা)-তে অংশ নেন। ২০২২ সালেও তিনি টিফাতে আমন্ত্রিত হয়ে অংশগ্রহণ করেন। সেই দুই বছরে তিনি নিজেই শুধু অংশ নেননি, ১০ জন করে বাঙালি লেখককে সাথে নিয়ে টিফাতে নেতৃত্ব দেন তিনি।
২০২১ সালে কানাডার “টপ ২৫ ইমিগ্রান্ট আওয়ারডস”-এর শর্ট লিস্টে তিনি অন্তর্ভুক্ত হন।
উল্লেখ করা যেতে পারে যে, ২০২০ সালে প্রবাসে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে অবদানের জন্য অগ্রগণ্য সংগঠন পূর্বায়ন তাঁকে সম্মাননা দেয়। ২০১৯ সালে আমেরিকার নিউ জার্সি শহর থেকে তিনি গায়ত্রী গ্যামার্স লিটারারি পুরস্কারে সম্মানিত হন।
বিশেষ উল্লেখের যে, ২০২০ সালে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী গ্রাম কোড়কদী নিয়ে তাঁর উদ্যোগেই আয়োজিত হয়েছিল কোড়কদী সমাবেশ। ২০১৬ সালে টরন্টোতে যে চৈতন্যমেলার আয়োজন করা হয় তার নেতৃত্বেও ছিলেন সুব্রত কুমার দাস। ২০১৫ সালে টরন্টোতে বেঙ্গলি লিটারারি রিসোর্স সেন্টার নামে যে প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়, সেটির প্রতিষ্ঠাতাও ছিলেন তিনি। তাঁর নেতৃত্বে বেঙ্গলি লিটারারি রিসোর্স সেন্টারের উদ্যোগে ২০১৬ ও ২০১৭ সালে কানাডীয় বাঙালি লেখক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ২০১৮ সালে বিশ্ব কবিতা দিবস উদযাপনে তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। ২০১৯ সালে প্রকাশ করেন প্রবাস জীবনের সুবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ “কানাডীয় সাহিত্য: বিচ্ছিন্ন ভাবনা”।
সুব্রত কুমার দাসের ৫৯তম জন্মবার্ষিকীতে এনআরবি টেলিভিশন এবং বাংলা মেইল পত্রিকার পক্ষ থেকে আমরা আন্তরিক অভিনন্দন জানাই।