
বড় ধরনের একটি মাদক আমদানি নেটওয়ার্ককে ভুল করে দিয়েছে রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশ (আরসিএমপি)। অভিযানে তারা টরন্টোর চার ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে। সেই সঙ্গে নগদ অর্থসহ ৩০ লাখ ডলার মূল্যের পণ্য জব্দ করেছে।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পুলিশ জানিয়েছে, দীর্ঘ ও জটিল এক তদন্তশেষে তারা গ্রেটার টরন্টো এরিয়াতে চারটি তল্লাশি পরোয়ানা কার্যকর করে। কানাডায় কোকেন আমদানি করে তা চোরাচালান করছিল মাদক নেটওয়ার্কটি। তল্লাশি চালিয়ে তারা আট লাখ ডলারের বেশি কানাডিয়ান মুদ্রা জব্দ করেছে। পাশাপাশি ৮৮ ইউনিট ইথার ক্রিপ্টোকারেন্সি, ২০২২ মডেলের একটি মার্সিডিজ বেঞ্জ জি-ওয়াগন এবং ২০ লাখ ডলার মূল্যের গহনা, ঘড়ি ও অন্যান্য বিলাসবহুল সামগ্রীও জব্দ করা হয়েছে।
৮৮ ইউনিট ইথার ক্রিপ্টোকারেন্সির বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ১ লাখ ৮৫ হাজার ডলার।
ট্রান্সন্যাশনাল সিরিয়াস অ্যান্ড অর্গনাইজড ক্রাইম (টিএসওসি) ইউনিটের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা স্টাফ সার্জেন্ট পিটার রেডি বলেন, আরসিএমপির টিএসওসি এনফোর্সমেন্ট টিম সফলভাবে বিপুল পরিমান মাদক পরিবহন এবং গ্রেটার টরন্টোতে চোরাচাল নেটওয়ার্ককে নস্যাৎ করতে সক্ষম হয়েছে।
পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, কানাডিয়ান বর্ডার সার্ভিসেস এজেন্সি, সার্ভিস ডি পুলিশ ডি লা ভিল ডি মন্ট্রিয়ল, ব্যারি পুলিশ, ব্র্যান্টফোর্ড পুলিশ, টরন্টো পুলিশ ও ফাইন্যান্সিয়াল ট্রানজ্যাকশন অ্যান্ড রিপোর্টস অ্যানালিসিস সেন্টার অব কানাডার সহায়তায় তদন্ত শেষ করা হয়।
এ ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩৬ বছর বয়সী এইয়োব হাইল-মাইকেলের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে নিয়ন্ত্রিত সাবস্ট্যান্স আমদানি, তা পাচার, নিয়ন্ত্রিত সাবস্ট্যান্স আমদানির ষড়যন্ত্র এবং অপরাধের মাধ্যমে অর্জিত সম্পদ রাখার অভিযোগ আনা হয়েছে। এছাড়া ২২ বছর বয়সী আবিগেইল বার্গম্যান, ৪০ বছর বয়সী হিলওয়ে হাইল-মাইকেল এবং ৩২ বছর বয়সী নুরিয়া কেমালের বিরুদ্ধে অপরাধের মাধ্যমে অর্জিত সম্পদ নিজের অধিকারে রাখার অভিযোগ এনেছে পুলিশ। তবে এসব অভিযোগ আদালতে প্রমাণিত হয়নি।