
নতুন অ্যালকোহল নির্দেশিকা নিয়ে তৈরি এক প্রতিবেদনে কানাডিয়ান সেন্টার অন সাবস্ট্যান্স ইউজ অ্যান্ড অ্যাডিকশন বোতল ও ক্যানের গায়ে সতর্কতা লেবেল লাগানোর সুপারিশ করেছে। যাতে করে ভোক্তারা ক্যান্সারসহ গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি সম্পর্কে জানতে পারেন। সেই সঙ্গে ড্রিংকসের পরিমাণ সপ্তাহে দুটিতে সীমিত করার কথা বলা হয়েছে।
২০১১ সালে তৈরি কানাডার নীতিমালায় এই হালনাগাদ আনা হয়েছে। ওই সময় দিনে দুটি ড্রিংকসকে কম ঝুঁকির বলে বিবেচনা করা হতো। সেই সঙ্গে এটাও মনে করা হতো যে, নারীরা নিরাপদে সপ্তাহে ১০টি এবং পুরুষরা ১৫টি ড্রিংকস নিতে পারে। বর্তমানে সপ্তাহে দুটি ড্রিংকসকে কম ঝুঁকির বলে বিবেচনা করা হচ্ছে।
সিসিএসএ বলেছে, যারা সপ্তাহে তিনটি থেকে ছয়টি ড্রিংকস নিয়ে থাকেন তাদের ক্ষতি মাঝারি মাত্রার। কিন্তু এর পর যতটি অতিরিক্ত ড্রিংকস নেবে ঝুঁকিও তত বাড়বে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতি সেশনে দুইটির বেশি ড্রিংকস নিলে নিজের ও অন্যদের ক্ষতির আশঙ্কা থাকে। আঘাত ও সহিংসতা এর মধ্যে অন্যতম।
২৩ জন বিশেষজ্ঞের সমন্বয়ে গঠিত প্যানেলের মতামতের ভিত্তিতে এই নির্দেশিকা তৈরি করা হয়েছে। এই প্যানেল প্রায় ৬ হাজানর পিয়ার-রিভিউড গবেষণা দুই বছর ধরে যাচাই করেছে। পাশাপাশি ৪ হাজার ৮৪৫ জনের কাছ থেকে অনলাইনে মতামতও নেওয়া হয়েছে।
সাম্প্রতিক উপাত্ত বলছে, অ্যালকোহলের কারণে ক্যান্সারে আকান্ত হয়ে কানাডায় প্রতি বছর মারা যায় প্রায় সাত হাজার মানুষ। এদের বেশিরভাগই স্তন ও কোলোন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। এরপর সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হন রেক্টাম, মাউথ, গলা, লিভার ক্যান্সারে। ফুসফুস ও বিভিন্ন ধরনের হৃদরোগেরও অ্যালকোহল সেবনের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে।