
দেশে ফিরতে চান উত্তর সিরিয়ায় আটক কানাডিয়ানরা। আদালত তাদেরকে দেশে ফিরিয়ে আনার আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত সরকার প্রতিবন্ধকতা তৈরি অব্যাহত রাখবে এবং সিদ্ধান্ত বদলে দেবে বলে মন্তব্য করেছেন আটক ব্যক্তিদের একজন আইনজীবী।
সিরিয়ায় আটক ২৩ কানাডিয়ানের পরিবারের করা চ্যালেঞ্জের ওপর ফেডারেল আদালতে শুক্রবার চূড়ান্ত শুনানি হয়। আটক ব্যক্তিদের পরিবারগুলো বলছে, তাদেরকে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা না করার মধ্য দিয়ে অটোয়া চার্টার রাইট লঙ্ঘন করছে।
আটক ব্যক্তিদের প্রতিনিধিত্বকারী আইনজীবীদের একজন লরেন্স গ্রিনস্পন আদালতের আদেশ ছাড়া গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স কানাডা বিষয়টি সঠিকভাবে মোকাবিলা করতে পারবে কিনা সেই প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেন, সরকার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি অব্যাহত রাখবে। সেই সঙ্গে বিলম্ব করাও চালিয়ে যাবে। না জানিয়েই নতুন ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি করবে তারা এবং শেষ পর্যন্ত তাদের অবস্থান বদলে ফেলবে। এটা হবেই।
ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড লেভান্টের কাছ থেকে উদ্ধার করা যুদ্ধবিধ্বস্ত কুর্দি বাহিনী পরিচালিত সিরিয়ান ক্যাম্পে যে অসংখ্য বিদেশি আটক রয়েছে, কানাডিয়ানরা তাদের অন্যতম।
কানাডা চারজন নাগরিককে ফিরিয়ে এনেছে। আরও অন্তত সাতটি দেশের নাগরিকদের প্রত্যাবাসন করা হয়েছে। এর মধ্যে ৬৫৯ জন ইরাকের, ৫৮ জনকে ফ্রান্সের, ১৭ জন অস্ট্রেলিয়ান, ১২ জন জার্মান, ৪০ জন ডাচ, ৩৮ জন রাশিয়ান ও ২ জন ব্রিটিশ নাগরিক। এগুলো প্রমাণ হিসেবে দাখিল করা হয়েছিল। তবে ক্রাউন লয়ার অ্যানি টার্লি সফলভাবে এই যুক্তি দেখান যে, অন্য বিষয়গুলো প্রাসঙ্গিক নয় এবং প্রমাণ হিসেবে গ্রহণ করা উচিত হবে না।
সরকারের উদাসীনতা যে অগ্রহণযোগ্য সে ব্যাপারে একটি ঘোষণা চান পরিবারের সদস্যরা। সেই সঙ্গে বন্দীদের ফিরিয়ে আনা, জরুরি ভ্রমণ কাগজপ্রত ইস্যু ও তাদেরকে ফিরিয়ে আনতে একজন কানাডিয়ান প্রতিনিধিকে ক্ষমতা দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন তারা।
ফেডারেল সরকারের প্রতিনিধিত্বকারী আইনজীবী বলছেন, বিশেষ সহায়তার জন্য গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স কানাডার নীতি কাঠামোর সর্বনি¤œ শর্ত কেন তারা পূরণ করতে পারেননি ২০২১ সালের নভেম্বরে প্রতিনিধির মাধ্যমে জানতে চেয়েছিলেন সিরিয়ায় আটক চারজন পুরুষ, ছয়জন নারী এবং ১৩ জন শিশু।